Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- দাদার মৃত্যুর তদন্ত করছিলেন নিজেই। সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিজনেস পার্টনার সেজে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেন গুজরাটের বাসিন্দা জিগার গোহিল। সফলও হন। জিগারের থেকে পাওয়া ‘টিপ’ পেয়ে পুলিশ অবশেষে গ্রেপ্তার করে গুজরাটের কুখ্যাত ‘সিরিয়াল কিলার’ নাভালসিন চাভডাকে। চাভডার পরবর্তী টার্গেট ব্যবসায়ী অভিজিৎ সিংহ রাজপুতকেও খুন হওয়ার হাত থেকে বাঁচান জিগার গোহিল। এর পরে তাঁকেও গ্রেপ্তার করে গুজরাট পুলিশ। কিন্তু কেন? গুজরাটের এই অপরাধমূলক ঘটনার তদন্ত চমকে দেবে আপনাকে।
গত ১০ বছরে প্রায় ১২টি খুন করেছেন চাভডা। তাঁর হিটলিস্টের তালিকায় ছিল জিগার গোহিলের দাদা বিবেক গোহিলও। দাদার মৃত্যুর প্রমাণ জোগাড়ের জন্য চাভডার সঙ্গে প্রথমে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন জিগার। চাভডার গাড়ির ব্যবসা ছিল। ধীরে ধীরে সেই ব্যবসার পার্টনারও হয়ে যান বিবেকের ভাই।
এর মাঝেই রাজকোটের একটি পরিবারের কন্যা নাগমা মুকাসামের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে চাভডা। নাগমা বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে তাঁকে ও তাঁর পরিবারের আরও তিন সদস্যকে ঠান্ডা মাথায় খুন করেছিলেন চাভডা। রাজকোটের পাধারী থানায় মুকাসাম হত্যার ঘটনার তদন্ত চলছে।
এখানেই শেষ নয়। সম্প্রতি গুজরাটের সানন্দ এলাকার নামী ব্যবসায়ী অভিজিৎ সিংহ রাজপুতকে খুনের ছক কষেছিল চাভডা। সেই কথাও জেনে ফেলেন জিগার। গত ১ ডিসেম্বর জিগার গোহিল আহমেদাবাদের সারখেজ থানায় গিয়ে হাজির হন। চাভডার পরবর্তী খুনের পরিকল্পনার কথা পুলিশকে জানান তিনি। তাঁর সাহায্যেই চাভডাকে ধরতে পারে পুলিশ। ১২টি নৃশংস খুনের হত্যাকারীকে হাতে পায় পুলিশ।
কিন্তু চাভডার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে জিগারের বিরুদ্ধে অদ্ভুত তথ্য উঠে আসে পুলিশের হাতে। রাজকোট গ্রামীণ পুলিশ সুপার হিমকার সিং জানান, জিগার বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী ছিলেন, কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে রিপোর্ট করেননি। খুন হওয়ার হাত থেকে তাঁদের বাঁচানোর চেষ্টা করেননি। এই খবর জানার পরেই তথ্য গোপনের অভিযোগে জিগারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরিজনের খুনের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিলেন জিগার। কিন্তু, তাঁর চোখের সামনেই নৃশংস হত্যাকাণ্ড হওয়ার পরেও পুলিশকে রিপোর্ট না করায় তাঁকেও গ্রেপ্তার হতে হল বলে জানিয়েছে পুলিশ। যদিও, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তিনি সরাসরি জড়িত ছিলেন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরো পড়ুন:– নতুন বছরের শুরুতেই সর্বনাশ! বন্ধ হয়ে যেতে পারে WhatsApp, বিস্তারিত জানুন