ওপারে পুড়ল খ্রিস্টানদের ১৭ বাড়ি 

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

 

Bangla News Dunia, দীনেশ :- হিন্দুদের ওপর হামলা চলছিলই। এবার বাংলাদেশে (Bangladesh) মৌলবাদীদের নিশানায় আরও একটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। বড়দিনের সন্ধ্যায় বান্দরবন এলাকার একটি গ্রামে খ্রিস্টানদের (Christian) অন্তত ১৭টি বাড়িতে আগুন (Fire) লাগিয়ে দেওয়া হয়। সরই ইউনিয়নের অন্তর্গত লামা উপজেলায় অবস্থিত ওই গ্রামটিতে ব্যাপক লুটপাট চালানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা সবাই ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের সদস্য। খ্রিস্টান অধ্যুষিত গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ ঘরছাড়া।

বুধবার রাতে ভয়ংকর আগুন লেগেছিল ঢাকার সচিবালয়ে। তার পিছনে কোনও চক্রান্ত রয়েছে বলে জল্পনা চলছে। তার মাঝে খ্রিস্টানদের ওপর হামলার ঘটনা পিছনে চলে গিয়েছে।

আরো পড়ুন :- মাত্র 3,530 টাকা ঢেলে 33 কোটি রিটার্ন ! 6 মাসে কোটিপতি বিনিয়োগকারীরা, জানুন সেই মাল্টিব্যাগার শেয়ার সম্পর্কে

তাংঝিরি নতুন ত্রিপুরাপাড়া নামে ওই গ্রামের বাসিন্দারা যখন বড়দিন পালনের তোড়জোড় করছিলেন সেই সময় তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়। একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের নেতা পায়সাপ্রু ত্রিপুরার দাবি, তাঁদের গ্রামে গির্জা না থাকায় অধিকাংশ বাসিন্দা প্রার্থনার জন্য পাশের গ্রামে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগে হামলা চালানো হয়। গ্রামের ১৯টি বাড়ির মধ্যে ১৭টিতে আগুন লাগানো হয়েছে।

আরো পড়ুন :- ফোন ধরলেই সর্বনাশ ! এই নম্বরগুলি থেকে কল আসলে ভুলেও তুলবেন না

ত্রিপুরার পরবর্তী মন্তব্য চাঞ্চল্যকর। তাঁর দাবি, কয়েকবছর আগেও তাঁদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেইসময় বহুদিন গৃহহীন ছিলেন। সরকারি সাহায্য না মেলায় নিজেদের উদ্যোগে বাড়ি তৈরি করেন তাঁরা। বড়দিনে মাথার সেই ছাদটুকুও চলে যাওয়ায় ফের অনিশ্চয়তায় গ্রামবাসীরা।

ক্ষতিগ্রস্তদের একজন গুঙ্গামণি ত্রিপুরার আক্ষেপ, ‘বুধবার আমাদের সবচেয়ে খুশির দিন ছিল। সেই দিনটিকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করা হল।’ হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের দপ্তর থেকে জারি করা বিবৃতিতে বান্দরবনে হামলার নিন্দা করা হয়েছে। তবে প্রশাসনের অনেকে ক্ষতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখলের পালটা অভিযোগ তুলছেন। যদিও এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার বা সংশ্লিষ্ট উপজেলার কোনও আধিকারিক প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে রাজি হননি। হামলাকারীদের সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন সরই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইদ্রিস।

আরো পড়ুন :- ভয়ঙ্কর যুদ্ধ কি আসন্ন ? পাক সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে ১৫ হাজার তালিবান সেনা

এদিন প্রশাসনের তরফে গৃহহীনদের হাতে কম্বল, চাল সহ কিছু ত্রাণসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। লামা উপজেলা নির্বাহী আধিকারিক রূপায়ণ দেব এলাকা পরিদর্শনের পর বলেছেন, ‘আমি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে অভিযোগ দায়ের করতে বলেছি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’

 

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন