Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- জন্মের পর শিশুকে প্রথম ছ’মাস ব্রেস্ট মিল্ক খাওয়ানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। এতে শিশুর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। পুষ্টির ঘাটতি মেটে। শিশুর খাবার, ওষুধ সবই তখন মায়ের দুধ। কিন্তু অনেক সময় শিশু নিজে থেকে স্তন্যপান করতে পারে না। সেই কারণেই আজকাল অনেকে ব্রেস্ট পাম্পের সাহায্য নেন। এই যন্ত্রটি নতুন মায়েদের অনেক সমস্যারই সমাধান করে দিয়েছে। যেমন–অতিরিক্ত দুধ সংরক্ষণ করে রাখা যায়। শিশু নিজে থেকে দুধ টানতে না পারলে অনায়াসে তাকে ফিডারে মায়ের দুধ খাওয়ানো যায়। কর্মরত মহিলা হলে, অনায়াসেই তিনি বুকের দুধ সন্তানের জন্য সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।
যদিও অনেকেই ব্রেস্ট পাম্প ব্যবহার করতে ভয় পান। মনে প্রশ্ন একটাই: ব্রেস্ট পাম্প ব্যবহার করা কি সুরক্ষিত? ব্রেস্ট পাম্প ব্যবহার করার খুঁটিনাটি এই সময় অনলাইন-এর সঙ্গে শেয়ার করলেন কলকাতার বিশিষ্ট স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার জয়তী মণ্ডল।
ব্রেস্ট পাম্প ব্যবহার করা কি সুরক্ষিত?
ব্রেস্ট পাম্প ব্যবহার করা সুরক্ষিত। প্রয়োজনে নতুন মায়েরা ব্রেস্ট-পাম্প ব্যবহার করতেই পারেন। এর ব্যবহারে স্তনে কোনও ব্যথা-বেদনা হয় না। বরং স্তন থেকে সহজেই দুধ সংগ্রহ করা যায়। এ ক্ষেত্রে কিছু নিয়মও মানতে হয়। ডাঃ জয়তী বলেন, ‘ব্রেস্ট পাম্প ব্যবহার করায় কোনও ক্ষতি বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ব্যবহারও করা উচিতও নয়। এতে স্তনদুগ্ধের উৎপাদন বা পরিমাণ কমে যেতে পারে।’
ব্রেস্ট পাম্প ব্যবহারের ক্ষেত্রে কী-কী সতর্কতা মেনে চলা উচিত?
বাজারে দু’ধরনের ব্রেস্ট পাম্প পাওয়া যায়, ম্যানুয়াল ও অটোমেটেড। একটি ব্রেস্ট পাম্পে আপনাকে হাত দিয়ে মাপ করে দুধ বের করতে হবে। অটোমেটিক ব্রেস্ট পাম্প ইলেক্ট্রিকের দ্বারা পরিচালিত হয়। এতে আপনাকে কোনও কসরতই করতে হয় না। যে ধরনেরই ব্রেস্ট পাম্প ব্যবহার করুন না কেন, খেয়াল রাখতে হয় হাইজিনের দিকে। ডাঃ জয়তী বলেন, ‘ব্রেস্ট পাম্প সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। পাম্প, দুধের বোতল যেন ভালো করে স্যানিটাইজ় করা হয়, সে দিকে নজর দেওয়া জরুরি। তাতে যদি কোনও রকম নোংরা কিংবা জীবাণু থাকে এবং তা যদি শিশুর দেহে পৌঁছায়, শরীর খারাপ হবে।’
দুধ অতিরিক্ত হলে কী করবেন?
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ব্রেস্ট পাম্প যন্ত্রের দ্বারা স্তনদুগ্ধ বের করলে দুধের পরিমাণ অনেক বেশি হয়। হয়তো সবটা দুধ সন্তান খায়ও না। সে ক্ষেত্রে আপনি অতিরিক্ত দুধ বোতলে ভরে ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। কর্মরত মহিলারা এই পন্থার সাহায্য নেন। কিন্তু সংরক্ষিত দুধ শিশুকে খাওয়ানোর বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ডাঃ জয়তী বলেন, ‘ব্রেস্ট মিল্ক অতিরিক্ত হলে সেটা সংরক্ষণ করে পরে বাচ্চাকে খাওয়ানোই যায়। কিন্তু কিছু নিয়ম মানতে হবে। প্রথমত, ঘরের তাপমাত্রায় আনতে হবে দুধ। এর জন্য একটি গরম জলের বাটিতে দুধ বসিয়ে রেখে দিন। ফুটন্ত গরম জল নয়। গরম জল করে নিন। তার পর একটু ঠান্ডা হলে তাতে দুধের বোতল বা বাটি বসিয়ে রাখুন। দুধ স্বাভাবিক মাত্রায় এলে শিশুকে খাওয়ান।’
Disclaimer: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরো পড়ুন:– নতুন বছরের শুরুতেই সর্বনাশ! বন্ধ হয়ে যেতে পারে WhatsApp, বিস্তারিত জানুন