Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বাংলাদেশের প্রশাসনের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেখানের বাতাসের মান। গত কয়েকদিন ধরেই ঢাকার বাতাসের মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। সেখানে যেভাবে বায়ুমানের অবনতি হচ্ছে তাতে বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। এই সঙ্গে ঢাকার মানুষের উপর মানসিক চাপ বাড়ছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা।
দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকার বাতাসের মান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আবহাওয়াবিদরা। সেখানের বায়ুমান উন্নত করার জন্য একগুচ্ছ পরামর্শও দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু তারপরেও বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষ শহরের তালিকায় থাকছে ঢাকা। মঙ্গলবার, এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে, ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ২৩৯। ঢাকার বাতাসের মান ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বা ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
দূষণ সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যাপসের একটি সমীক্ষা অনুসারে, গত ৯ বছরের মধ্যে ঢাকায় সর্বোচ্চ বায়ুদূষণ ছিল গত ডিসেম্বরে। ওই মাসে একদিনও নির্মল বাতাস পাননি ঢাকার বাসিন্দারা। গত বছর ডিসেম্বরে ঢাকার বাতাসের গড় মান ছিল ২৮৮। ২০২৩ সালে একই সময়ে এই মান ছিল ১৯৫।
চিকিৎসকরা জানান, ক্রমাগত দূষণের মধ্যে থাকার কারণে ঢাকার বাসিন্দাদের মধ্যে নানা রকম রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এগুলির মধ্যে অন্যতম হলো হার্ট অ্যাটাক। তাঁরা জানান, বায়ূদূষণের কারণে প্রভাব পড়ছে দৈনন্দিন জীবনেও। এর ফলে উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক বাড়ছে। সেই সঙ্গেই হার্টের ছন্দ অনিয়মিত হয়ে পড়ছে। মঙ্গলবার ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম ২.৫) এর পরিমাণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের চেয়ে প্রায় ৩২.৮ গুণ বেশি ছিল। চিকিৎসকরা জানান, এই কণা হৃদরোগীদের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই ক্ষুদ্র কণাগুলো হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় এবং সঠিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সমস্যা সৃষ্টি করে।
কী ভাবে এই ঝুঁকি বাড়ছে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ‘বায়ুদূষণের ফলে বাতাসে যে পরিমাণ অক্সিজেন থাকার কথা সেটা থাকে না। তাতে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন উপাদান থাকে। এগুলি রক্তনালির লেয়ারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে বায়ু দূষিত থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে।’
তিনি জানান ,হৃৎপিণ্ডের যে পরিমাণ অক্সিজেন প্রয়োজন বায়ুদূষিত থাকলে তা পাওয়া যায় না। ফলে হৃৎপিণ্ডের স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হয়ে ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। এ ছাড়াও বাতাস এবং শব্দ দূষণের কারণে মানুষের ওপর মানসিক চাপ পড়ছে। তাঁদের ঘুম ব্যাহত হওয়ার সঙ্গেই মানসিক অশান্তিও বাড়ছে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাকের পরিমাণ আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।
আরও পড়ুন:– দেশে ন্যায়তন্ত্র থাকলে সবার আগে মোদি-যোগীকে শাস্তি দেওয়া হত, কেন এই কথা বললেন পুরীর শঙ্করাচার্য ?
আরও পড়ুন:– ‘ব্যাঙ্কের অ্যাপে’ এ বার সাইবার হানা, আসল-নকল না বুঝলে বড় বিপদ শিয়রে…