Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যু ও স্যালাইন-বিতর্কের মাঝেই শুরু সিআইডি তদন্ত। মঙ্গলবার ডিএসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক-সহ মোট পাঁচ জনের টিম যায় মেদিনীপুর মেডিক্যালে। সিনিয়র ডাক্তার, জুনিয়র ডাক্তার, নার্সদের সঙ্গে কথা বলে তারা। হাসপাতাল সুপার জয়ন্ত রাউত বলেন, ‘তদন্তকারী দল এসেছিল। যাঁদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন হয়েছে, তাঁদের ডেকে পাঠিয়েছিলেন। এর থেকে বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।’ অন্য দিকে এ দিনই মামনি রুইদাসের মৃত্যুর ঘটনায় নয়া তথ্য উঠে আসে। মেদিনীপুর মেডিক্যালে মামণি রুইদাসের মৃত্যু হয়েছে সেপটিক শকে, এমনটাই উঠে এসেছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। শরীরের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণও মৃত্যুর পথ প্রশস্ত করেছে। কারণ, একটু-আধটু নয়, ময়নাতদন্তে মৃতার পেটে প্রায় ৭০০ মিলিলিটার এবং বুকে প্রায় ১.৫ লিটার রক্তমিশ্রিত ফ্লুইড মিলেছে। এই পরিমাণ রক্তক্ষরণই মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, দু’জন জুনিয়র, চারজন নার্সের সঙ্গে কথা বলেন সিআইডির সদস্যরা। সুপারের ঘরেই তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল বলে খবর। সূত্রের খবর, আরএমও এবং সুপারের সঙ্গেও কথা বলে সিআইডি। একই সঙ্গে গাইনোকলজি বিভাগের প্রধান মহম্মদ আলাউদ্দিন-সহ ঘটনার দিন রাতে যে সিনিয়র ডাক্তাররা দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের সঙ্গেও কথা বলেন বলে খবর।
প্রসঙ্গত, মেদিনীপুর মেডিক্যালে মামনি রুইদাস নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় রিঙ্গার্স ল্যাকটেট স্যালাইনে ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। শুধু মামনি নন, আরও চার জন অসুস্থও হন। তাঁদের একজন আপাতত কিছুটা সুস্থ। বাকি তিনজনকে মেদিনীপুর থেকে কলকাতায় এসএসকেএমে আনা হয়।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে তদন্তকারী কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্য দিকে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেন, ‘আমরা মনে করি, কোনও এসওপি মেনে চিকিৎসা হয়নি।’
মুখ্যসচিব জানিয়েছিলেন, অস্ত্রোপচার হলে সিনিয়র ডাক্তারের অধীনে জুনিয়র ডাক্তাররা কাজ করেন, এটাই নিয়ম। কিন্তু মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতিদের চিকিৎসার সময় তা মানা হয়নি বলেও প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। গাফিলতি প্রমাণ হলে কেউ ছাড় পাবেন না। বিশদে তদন্তের জন্য সিআইডির হাতে তদন্ত ভার তুলে দেওয়া হল বলে জানান তিনি।
অন্য দিকে, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে সেপটিক শকের তথ্য উঠে এসেছে। আরও উল্লেখ, এই বিপুল রক্তক্ষরণের জন্যই এক সময়ে মস্তিষ্কের কোষগুলি রক্ত সরবরাহ করতে পারছিল না, তাতেই মস্তিষ্ক ফুলে গিয়েছিল প্রসূতির। এ নিয়ে যদিও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
আরও পড়ুন:– দেশে ন্যায়তন্ত্র থাকলে সবার আগে মোদি-যোগীকে শাস্তি দেওয়া হত, কেন এই কথা বললেন পুরীর শঙ্করাচার্য ?
আরও পড়ুন:– ‘ব্যাঙ্কের অ্যাপে’ এ বার সাইবার হানা, আসল-নকল না বুঝলে বড় বিপদ শিয়রে…