Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ‘জিরো পয়েন্ট’-এ নিজের জমিতে চাষ করতে গিয়ে নিখোঁজ নদিয়ার এক কৃষক ৷ বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধে ওই কৃষককে আটকের অভিযোগ করেছে তার পরিবার । ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার নদিয়ার চাপড়ার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী হৃদয়পুর গ্রামে । কৃষকের পরিবার ইতিমধ্যে এই নিয়ে চোপড়া থানায় অভিযোগ করেছে ৷ ঘটনায় হতবাক তাঁরা । প্রত্যেকের চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ ফুটে উঠছে ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালে হৃদয়পুর গ্রামের বাসিন্দা নূর হোসেন বিএসএফের কাছে তাঁর পরিচয়পত্র জমা দিয়ে সীমান্তের ‘জিরো পয়েন্ট’-এ (কাঁটাতার পেরিয়ে) ভারতীয় জমিতে চাষ করতে গিয়েছিলেন । এরপর সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও তিনি আর বাড়িতে ফেরেননি ৷ তারপরেই চাপড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে কৃষক নূর হোসেনের পরিবার ।
আরও পড়ুন:– ‘আইআইটি বাবা’ থেকে ‘রাবড়ি বাবা’, মহাকুম্ভে হইচই ফেলে দিয়েছেন এই বিচিত্র সাধুরা
এ বিষয়ে কৃষক নূর হোসেনের স্ত্রী হাসানি শেখ বলেন, “মঙ্গলবার সকাল নটা নাগাদ প্রতিদিনের মতো জমিতে চাষ করতে যান আমার স্বামী । কিন্তু রাত হয়ে গেল তিনি আর বাড়ি ফেরেননি । দীর্ঘসময় খোঁজাখুঁজি পর জানতে পারি, বাংলাদেশ সেনা তাঁকে আটক করে নিয়ে গিয়েছে । যেহেতু বিএসএফের কাছে নথি জমা দিয়ে চাষ করতে যেতে হয়, সেই কারণে প্রথমে বিএসএফের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করি । কিন্তু, তাদের কাছ থেকে কোন সঠিক প্রতিক্রিয়া না পেয়ে অবশেষে চাপড়া থানার দ্বারস্থ হই আমরা । ইউনুস সরকার আসার পর ভারতীয়দের উপর বাংলাদেশিদের অত্যাচার আরও বেড়ে গিয়েছে ।”
ওই কৃষকের ভাই কুদ্দুস শেখের কথায়, “প্রতিদিনের মতো আমার দাদা বিএসএফের 21 নম্বর গেট দিয়ে নির্দিষ্ট নথি এবং জমির নম্বর জমা দিয়ে চাষ করতে গিয়েছিল । সেই সময় আমি কাজে ছিলাম ৷ জানতে পারি দাদা আর বাড়িতে ফেরেনি । বিজিবি তাকে আটক করে নিয়ে যায় ৷ কী কারণে তারা তাকে আটক করেছে কিছুই জানি না ।”
এ বিষয়ে প্রতিবেশী রাজীব শেখ বলেন, “যতদূর জানতে পেরেছে নূর হোসেন সীমান্ত পেরিয়ে তার জমিতে চাষ করতে গিয়েছিল । কিন্তু সে আর বাড়িতে ফেরেনি । যেটা শোনা যাচ্ছে, বাংলাদেশ সেনা অর্থাৎ বিজিবি তাকে আটক করে নিয়ে গিয়েছে ।”
অন্যদিকে, কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশের ডিএসপি শিল্পী পাল বলেন, “নূর হোসেনের পরিবারের তরফে চাপড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে । আমরা বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি । যেহেতু ওটা সীমান্ত এলাকা সেই কারণে আমরা নিজেরা ওখানে গিয়ে তদন্ত করতে পারব না । বিএসএফের তরফে যদি আমাদের সাহায্য করা হয় সেই অনুযায়ী আমরা তদন্ত প্রক্রিয়া চালাবো ।” তবে এই ঘটনা নিয়ে বিএসএফের তরফে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ।