টিউমারের সমস্যায় জেরবার ? স্থায়ী মুক্তি দেবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Homeopathy

Bangla News Dunia, Pallab : টিউমার ইংরেজি শব্দ। যাকে বাংলায় বলে আর্বুদ। শরীরের যে কোনো স্থানে কোষসমূহ যদি ধীরে ধীরে বা দ্রুততার সঙ্গে অস্বাভাবিক ও অসামঞ্জস্যভাবে ফুলে ওঠে তাকে টিউমার বলা হয়। টিউমার হলো মূল দেহ কোষের অস্বাভাবিক রূপান্তর বা নতুন কোষের সংযোজন।

টিউমারের প্রকারভেদ:

টিউমার সাধারণত তিন রকমের হয়-

১. বিনাইন টিউমার,
২. প্রি-ম্যালিগন্যান্ট টিউমার এবং
৩. ম্যালিগন্যান্ট টিউমার।

আরও পড়ুন:– রাজ্যে খুব শীঘ্রই বসবে ৪ লক্ষ প্রিপেড স্মার্ট মিটার, আরও জানতে পড়ুন….

বিনাইন টিউমার: এই জাতীয় টিউমার সাধারণত তুলতুলে নরম হয় এবং শক্ত হয় না। খুব আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পায়। এর কোনো আবরণ থাকে না। এর উপরের চর্ম আলাদা পৃথক মনে হয়। এই টিউমারের সংলগ্ন গ্রন্থিসমূহ আক্রান্ত হয় না। চাপ দিলে এতে কোনো যন্ত্রণা অনুভূত হয় না।

প্রি-ম্যালিগন্যান্ট টিউমার: এই টিউমারগুলিতে কোষগুলি এখনও ক্যান্সারযুক্ত নয়, তবে ভবিষ্যতে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ম্যালিগন্যান্ট টিউমার: এটা নিরেট বা শক্ত হয়। খুব দ্রুত বৃদ্ধি হয়। এতে আবরণ থাকে। এটার উপরের চর্ম আলাদা পৃথক মনে হয় না। এই টিউমার সংলগ্ন গ্রন্থিসমূহ আক্রান্ত হয়। চাপ দিলে এতে যন্ত্রণা অনুভূত হয়। এতে আঘাত করলে বা অস্ত্রোপচার করলে ক্ষতি হয়। অস্ত্রোপচার করলে পরে প্রায়ই ক্যান্সার হতে দেখা যায়।

শরীরের বিভিন্ন স্থানে টিউমার বিভিন্ন নামে পরিচিত:

১. নাক, জরায়ু প্রভৃতি শৈ্লষ্মিক ঝিলি্লর টিউমারের নাম প্যাপিলোমা,
২. জরায়ু, পাকস্থলী প্রভৃতি স্থানের মাংসপেশির টিউমারের নাম মাইওমা,
৩. চর্মের টিউমারের নাম এপিথেলিওমা,
৪. পিঠ, কাঁধ প্রভৃতি স্থানে ফ্যাটিটিস্যু টিউমারের নাম লিপোমা,
৫. বোনের কার্টিলেজের টিউমারের নাম কনড্রমা,
৬. মাথার খুলি, মুখম-ল, নাসিকা গহ্বর প্রভৃতি স্থানে হাড়ের অস্থি টিউমারের নাম অস্টিওমা,
৭. মস্তিষ্ক কোষের টিউমারের নাম গ্লাইওমা,
৮. মস্তিষ্ক, লিভার প্রভৃতি স্থানে রক্ত নালিকার টিউমারের নাম হেমান জিওমা,
৯. ঘাড়, জিহ্বা, বগল প্রভৃতি স্থানের লসিকা নালির টিউমারের নাম লিমফ্যানজিওমা। সাধারণত কম বয়সে সার্কোমা টিউমার দেখা দেয়। সাধারণত ৪০ বছর বয়সের পর কার্সিনোমা টিউমার দেখা দেয়।

চিকিৎসা পদ্ধতি :

হোমিওপ্যাথিক ঔষধ দ্বারা টিউমার সারানো সম্ভব। তবে ঔষধে আরোগ্য না হলে অস্ত্রোপচার করাই উত্তম। এক্ষেত্রে লক্ষণ অনুযায়ী নিম্নলিখিত ঔষধ পর্যালোচনা করা যেতে পারে।

ব্যারাইটা কার্ব, ক্যালকেরিয়া কার্ব, কোনিয়াম,স্ট্যাফওসেগ্রিয়া, গ্রাফাইটিস, পালসেটিলা, হেক্লা লাভা, থুজা,ক্যাল. ফ্লোর, কার্ব এনি ইত্যাদি।(চিকিৎসকের যোগাযোগ — 9932705987)

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন