Bangla News Dunia, Pallab : এবার বাংলাদেশের ছায়া ধীরে ধীরে গোটা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়তে চলেছে। ২০২৪ এর আগস্ট মাস থেকেই উত্তাল বাংলাদেশ। সেখানে বর্তমান সমাজে টিকে থাকার জন্য অস্তিত্বের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে সংখ্যালঘু হিন্দুরা। অনেকেই আবার নিজের এবং পরিবারের প্রাণ বাঁচাতে ওপার বাংলা ছেড়ে এপার বাংলা অর্থাৎ ভারতে আসতে চাইছে। তাও আবার বেআইনি পথে। তাইতো বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই ভারতে অনুপ্রবেশের সময় ধরা পড়েছেন বেশ কয়েকজন বাংলাদেশিদের। তার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশে বাড়ছে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ।
আরও পড়ুন:– পশ্চিমবঙ্গে চালু হচ্ছে কার্বন ক্রেডিট কার্ড। কি কি সুবিধা মিলবে? জেনে নেওয়া যাক
রোহিঙ্গার ছায়া এবার ভারতের অন্দরে!
অনেক আগেই কুটনীতিবিদদের একাংশ আশঙ্কা করেছিল যে খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ ও মায়ানমারের অশান্তির ছায়া বাংলার উপরেও পড়তে চলেছে। আর এবার বাস্তবে সেই আশঙ্কাই সত্যি হতে চলেছে। প্রশাসনের চিন্তা বাড়িয়ে এবার ভারতে রোহিঙ্গা প্রবেশের ছায়া দেখা যাচ্ছে। কারণ এবার শহর অন্যতম ব্যস্ততম রেল স্টেশন শিয়ালদহ থেকে তিন মায়ানমারের বাসিন্দাকে আটক করল আরপিএফ জওয়ানেরা। দেশে আসার কোনও বৈধ নথি তাঁরা দেখাতে পারেননি। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ধৃতেরা তিন জনেই মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের বাসিন্দা।
সন্দেহকারীদের তুলে দেওয়া হয় আরপিএফ জওয়ানদের হাতে!
সূত্রের খবর, গত শুক্রবার, রাতে শিয়ালদহ স্টেশনে বেশ কয়েকজন কর্তব্যরত টিকিট পরীক্ষকদের তিন জনের চালচলন দেখে বেশ সন্দেহ জাগছিল। তাঁরা কোথায় যাচ্ছেন, সে বিষয়ে কোনও সদুত্তর তাঁরা দিতে পারছে না। তাই সময় নষ্ট না করে মুহূর্তের মধ্যে টিকিট পরীক্ষকেরা ওই তিন জনকে শিয়ালদহ স্টেশনে থাকা আরপিএফ জওয়ানদের হাতে তুলে দেন।
যদিও সেখানেও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কোনও সদুত্তর দিতে পারছিল না ওই সন্দেহজনক ব্যক্তিদের। পরে তাঁরা নিজের মুখে স্বীকার করে যে তাঁরা তিন জনেই আসলে মায়ানমারের বাসিন্দা। এরপর তিন জনকেই আটক করে শিয়ালদহ জিআরপি থানায় পাঠিয়ে দেন আরপিএফ জওয়ানেরা। এখন প্রশ্ন উঠছে যে, ওরা তিনজন কী জঙ্গি?
আসলে এইমুহুর্তে মায়ানমারের শাসন করছে জুন্টা বাহিনী। এদিকে সেখানে এই জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আন্দোলন শুরু করেছে আরাকান আর্মি। তার উপর দেশের রাখাইন প্রদেশ আরাকার আর্মির দখলে চলে গিয়েছে। সেই কারণে এবার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করা হচ্ছিল। আশঙ্কা করা হচ্ছে প্রথমে বাংলাদেশে তাঁরা স্থায়ী ঠিকানার জন্য আশ্রয় নিচ্ছে। পরে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ভারতে কোনো রকমে প্রবেশ করছে ।
আরও পড়ুন:– ৩০ লাখ পথ কুকুর হত্যার নিদান মরক্কোর, কেন এমন সিদ্ধান্ত ?