Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- আরজি কর মামলায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ (ধর্ষণ), ৬৬ (ধর্ষণের পর মৃত্যু) এবং ১০৩ (১) (খুন) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে সঞ্জয়কে। সোমবার সাজা ঘোষণা করবেন বিচারক। এক তরুণী চিকিৎসকদের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা তোলপাড় করে গোটা দেশকে। রাত দখল, মানব বন্ধন থেকে শুরু করে মিছিল, আন্দোলন চলে টানা কয়েক মাস। গোটা ঘটনার বিস্তর প্রভাব পড়ে রাজনৈতিক মহলেও। রায় ঘোষণার পর রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিক্রিয়া কী?
আরজি করে ঘটনার পরের দিনই সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করেছিল কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী দল। হাইকোর্টের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্বভার যায় সিবিআইয়ের কাছে। কলকাতা পুলিশের হাতে ধৃত সেই সঞ্জয়কেই আজ দোষী সাব্যস্ত করা হলো। রায়দানের পর কলকাতা পুলিশের পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘কুৎসা করে যাঁরা বিভ্রান্ত করেছেন, আজকে প্রমাণিত হলো তাঁরা মিথ্যা বলেছেন। কলকাতা পুলিশের তদন্তের অভিমুখ ঠিক ছিল।’
যদিও ঘটনার সঙ্গে সঞ্জয় একা জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘শুরুটা ভালোই হলো। এ সব ক্ষেত্রে ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট হয়ে থাকে। তবে এটা আংশিক। বিচার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। এই ঘটনায় সঞ্জয় রায় একা নয়, একাধিক ব্যক্তি জড়িত।’
অনেকটা একই সুর সিপিএমের গলাতেও। সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করার মধ্যে কৃতিত্বের কিছু নেই। সিবিআই অন্য কাউকে ধরতে পারেনি। এটা সিবিআইয়ের চূড়ান্ত ব্যর্থতা।’ সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাট বলেন, ‘সঞ্জয় রায় যে দোষী এটা তো সারা পৃথিবী জানে। কিন্তু তার পিছনে কোন শক্তি কাজ করেছে?…এই ঘটনা ঘটেছে একটা দুর্নীতিতে ভরা প্রশাসনের জন্য। সরকার, আরজি করের প্রিন্সিপাল এবং গোটা প্রশাসন দায়ী এই ঘটনার জন্য।’ রায় ঘোষণার পর সিপিএমের অফিসিয়াল ফেসবুক হ্যান্ডল থেকে একটি পোস্ট করা হয়। সেখানে লেখা হয়, ‘দোষীদের প্রত্যেকের শাস্তি চাই।’
আরও পড়ুন:– পশ্চিমবঙ্গে চালু হচ্ছে কার্বন ক্রেডিট কার্ড। কি কি সুবিধা মিলবে? জেনে নেওয়া যাক
আরও পড়ুন:– ৩০ লাখ পথ কুকুর হত্যার নিদান মরক্কোর, কেন এমন সিদ্ধান্ত ?