সরকারি চাকরি বাগিয়েছিল পাকিস্তানি যুবতী, ১০ বছর পর কিভাবে ধরা পড়ল ? জানুন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ২০১৫ সাল থেকে উত্তরপ্রদেশের বরেলি জেলার এক সরকারি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করছিলেন শুমায়লা খান। চাকরি পাওয়ার সময় তিনি একটি ডোমিসাইল সার্টিফিকেট জমা দিয়েছিলেন। সেই সার্টিফিকেট অনুযায়ী, তিনি রামপুর জেলার বাসিন্দা। ১০ বছর পর পুলিশি তদন্তে জানা গেল, ৪৫ বছর বয়সী ওই মহিলা আদতে পাকিস্তানি নাগরিক। তাঁর দাখিল করা ডোমিসাইল সার্টিফিকেটটি ভুয়ো।

এই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। চাকরি করার সময় তিনি যে বেতন পেয়েছিলেন, তার পুরোটা তাঁকে ফেরত দিতে হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা দপ্তর। সেই অর্থ পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেই সঙ্গে শুরু করা হয়েছে আইনি প্রক্রিয়াও।

রামপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকেশ চন্দ্র মিশ্র জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি, প্রতারণার উদ্দেশ্যে জালিয়াতি, জাল নথি বা ইলেকট্রনিক রেকর্ড ব্যবহার করার মতো অভিযোগে, ভারতীয় দণ্ডবিধির প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:– ফের ভারতে আসছেন মেসি, কবে-কোথায় দেখা যাবে বাঁ-পায়ের জাদু?

বরেলি প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিক সঞ্জয় সিং জানিয়েছেন, গত বছর রামপুর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা শুমাইলার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছিল। এর পরই শিক্ষা বিভাগ তাঁর নথিপত্র যাচাই করা শুরু করে। বরেলির প্রাথমিক শিক্ষা কর্তা ভানুশঙ্কর গাঙ্গওয়ার বরেলির ফতেহগঞ্জ পশ্চিম থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেছিলেন। শুমাইলার ডোমিসাইল সার্টিফিকেটের সত্যতা যাচাই করার জন্য রামপুরের সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছেও একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল।

তদন্তে জানা যায়, শুমায়লার জমা দেওয়া ডোমিসাইল সার্টিফিকেটটি রামপুর জেলা প্রশাসনের জারি করা নয়। আরও জানা যায়, শুমাইলার বাবা-মায়ের পাকিস্তানের সঙ্গে যোগসূত্র ছিল। শুমাইলার জন্মও পাকিস্তানে। তাঁর যখন তিন বছর বয়স, তখন তিনি তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে ভারতে চলে এসেছিলেন। এর পর রামপুর এবং বরেলিতেই তিনি বড় হয়েছেন, পড়াশোনা করেছেন।

আরও পড়ুন:– পশ্চিমবঙ্গে চালু হচ্ছে কার্বন ক্রেডিট কার্ড। কি কি সুবিধা মিলবে? জেনে নেওয়া যাক

আরও পড়ুন:– ৩০ লাখ পথ কুকুর হত্যার নিদান মরক্কোর, কেন এমন সিদ্ধান্ত ?

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন