Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ইন্টারনেট ছাড়া এক মুহূর্ত চলে না। তার সঙ্গে দোসর সোশ্যাল মিডিয়া। প্রায় সব মিলেনিয়াল, জেন জ়ি, এমনকি জেন আলফাদেরও একটা ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড রয়েছে। কেউ তার জীবনের খুঁটিনাটি প্রতিনিয়ত সোশ্যাল মিডিয়ায় আপডেট দেয়, আবার একদম চুপ (পড়ুন ইন্ট্রোভার্ট)। ডিজিটাল ইন্ট্রোভার্ট হোন বা এক্সট্রোভার্ট, সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব প্রত্যেকের জীবনে রয়েছে। এই প্রভাবই কিন্তু আপনার সম্পর্ককে নষ্ট করতে পারে। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক হোক বা ছেলেমেয়ের সঙ্গে বাবা-মায়ের সম্পর্কে, বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে সোশ্যাল মিডিয়া।
মনকে বিচলিত করে তোলে
ধরুন আপনি পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন, কিংবা সঙ্গীর সঙ্গে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করছেন, তার মধ্যিখানে ক্রমাগত মেসেজ আসছে, ফোনে নোটিফিকেশন ঢুকছে। এটি আপনার মনকে বিচলিত করে তুলছে এবং মনোযোগ নষ্ট করছে। এমন পরিস্থিতিতে আপনি মন দিয়ে সামনের মানুষটার কথা শুনছেন না। খুব স্বাভাবিক ভাবেই এখান থেকে মনোমালিন্য, ঝামেলা-অশান্তি তৈরি হচ্ছে।
অবাস্তব প্রত্যাশা
সোশ্যাল মিডিয়া যা দেখছেন, সব যে আসল তা ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। ইনস্টাতে যাঁরা ‘পারফেক্ট কাপল’, তাঁরা বাস্তবে সুখী নাও হতে পারেন। সুতরাং, তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় কী করছেন, তা দেখে সেটা নিজের জীবনে প্রয়োগ করতে যাবেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক ঘটনাই থাকে, যা অবাস্তব। সেগুলো নিজেদের সম্পর্কে খাটাতে গেলে জটিলতা তৈরি হবে। সম্পর্কের ভিত নড়বড়ে হয়ে যেতে পারে।
বিশ্বাস নষ্ট হয়
আজকাল মানুষের সঙ্গে আলাপ, প্রেম হয় সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। সেখান থেকে পরকীয়ার ঘটনাও কম ঘটে না। এমন ঘটনাই পার্টনারের প্রতি বিশ্বাস নষ্ট করে। তাই এ দিক থেকে ও দিক কিছু ভুলভাল হলেই পার্টনারের প্রতি সন্দেহ তৈরি হয়। তা নিয়ে ঝগড়া, অশান্তি, এমনকি সম্পর্ক ভেঙেও যায়। তা ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় পার্টনার যদি কারও সঙ্গে কথা বলে কিংবা তাদের বন্ধুত্ব খুব গাঢ় হয়, সেখান থেকে আপনার মধ্যে ইনসিকিউরিটি তৈরি হতে পারে। নিরাপত্তাহীনতা ও হীনমন্যতায় ভুগতে পারেন, যা সম্পর্ককে তিক্ত করে তুলতে পারে।
আরও পড়ুন:– সইফের ওপর রাগ না অভিমান ? হাসপাতালে দেখা গেল না কেন প্রাক্তন স্ত্রী অমৃতাকে ?
আরও পড়ুন:– সরকারি চাকরি বাগিয়েছিল পাকিস্তানি যুবতী, ১০ বছর পর কিভাবে ধরা পড়ল ? জানুন