Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- রায় শুনে অঝোরে কাঁদছিলেন আরজি করের নির্যাতিতার বাবা। বিচার ব্যবস্থার উপরে তাঁদের ভরসা ‘পূর্ণ মর্যাদা’ পেয়েছে, বলার পরেই গলা ধরে আসে তাঁর। আবেগে–কষ্টে–বেদনায়। অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের মা অবশ্য ছেলের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার খবর শুনে ভাবলেশহীন। সংবাদ মাধ্যমের সামনে চড়ালেন গলার স্বর, ‘ছেলের বিষয় ওই বুঝবে’।
শিয়ালদহ হাইকোর্টের রায় ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ছেলের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার খবর পৌঁছে গিয়েছিল সঞ্জয়ের মায়ের কানে। কিন্তু বিশেষ তাপ উত্তাপ দেখা যায়নি প্রৌঢ়ার মধ্যে। বরং সংবাদ মাধ্যমের বারবার প্রশ্নে বিরক্ত হয়েছেন তিনি। রায় ঘোষণা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে দেওয়ালে সাঁটানো ঠাকুরের ছবিগুলোর দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলে ওঠেন, ‘যা জিজ্ঞেস করার ওঁদের করুন।’
আরও পড়ুন:– রায়দানের পর কী প্রতিক্রিয়া সিপিএম, বিজেপির?
সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় শনিবার আদালতে দাঁড়িয়ে দাবি করেছিলেন, তিনি দোষী নন। আর অপরাধ করে থাকলে ধস্তাধস্তিতে তাঁর রুদ্রাক্ষের মালার ছেঁড়া অংশ ঘটনাস্থলে পড়ে থাকত। কিন্তু তাতে খুব একটা আমল দেননি বিচারক। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সমস্ত প্রমাণ আদালতে জমা পড়েছে। তার ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্তও করা হয়েছে। সোমবার সাজা ঘোষণা হবে।
নির্যাতিতার বাবা-মা যখন দোষীর কঠোরতম শাস্তি চাইছেন সেই সময়ে সঞ্জয়ের মা সংবাদ মাধ্যমকে ঝাঁঝালো গলায় বলেন, ‘আমার কিছু বলার নেই। দোষী হয়েছে, তো হয়েছে।’ আগামীতে ছেলের জন্য আইনি লড়াই নিয়েও কোনও উৎসাহ দেখাননি তিনি। বরং উষ্মা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমার উচ্চ আদালতে যাওয়ার কিছু নেই।’ পাড়ার ছেলে সঞ্জয়কে নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ কোনও প্রতিবেশীই। তবে কেউ কেউ অগোচরে বলছেন, একাধিক বিয়ে করেছিল সে। কিন্তু কোনও সম্পর্কই টেকেনি। বোনেদের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল না তার।
আরও পড়ুন:– সইফের ওপর রাগ না অভিমান ? হাসপাতালে দেখা গেল না কেন প্রাক্তন স্ত্রী অমৃতাকে ?
আরও পড়ুন:– সরকারি চাকরি বাগিয়েছিল পাকিস্তানি যুবতী, ১০ বছর পর কিভাবে ধরা পড়ল ? জানুন