Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ২৫ বছর পূর্ণ করল ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’ ছবিটি। এই ছবি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন রাকেশ রোশন। ২০০০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমেই বলিউডে অভিষেক হয় হৃত্বিক রোশনের। রিলিজ় করার পরেই বক্স অফিসে দারুণ ব্যবসা করে হৃত্বিকের প্রথম ছবি। তার পর থেকেই এক নাগাড়ে হুমকি আসতে শুরু করে পরিচালক রাকেশের কাছে। ছবি থেকে যে অর্থ লাভ হয়েছে তার সিংহভাগ দাবি করা হয়।
টাকা না দিলে প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় রাকেশকে। কিন্তু রাকেশ কোনও ভাবেই টাকা দিতে রাজি হননি। ছবির সাফল্যে এতটাই মজে ছিলেন, যে হুমকির বিষয়টিও বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখেননি রাকেশ। কিন্তু তার পরিণতি যে এমন হবে, সেটা বোধহয় ভাবেননি রাকেশ। ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’ মুক্তির সপ্তাহ খানেক পর মুম্বইয়ের সান্তা ক্রুজের দফতর থেকে বেরিয়ে গাড়িতে উঠছিলেন রাকেশ। ঠিক সেই সময় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। একটি গুলি বাঁ হাতে এবং দ্বিতীয় গুলিটি এসে লাগে রাকেশের বুকে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রাকেশ।
আরও পড়ুন:– প্রয়োজন আরও ১২ কোটির, মেয়েকে সারাবে ১৬ কোটির ইঞ্জেকশন, ঘুম নেই পরিবারের
তড়িঘড়ি রাকেশকে মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রাকেশের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। রাকেশকে প্রাণে বাঁচাতে তাঁর চিকিত্সার দায়িত্ব নেন চাঙ্কি পাণ্ডের বাবা চিকিত্সক শরদ পাণ্ডে। ‘দ্য রাকেশ’ শীর্ষক ডকু-সিরিজ়ে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসার এই ঘটনার কথা বলেছেন রাকেশ। তিনি জানিয়েছেন, রক্তাক্ত অবস্থায় নিজেই পুলিশের কাছে গিয়ে দুষ্কৃতীকে ধরার কথা বলেছিলেন।
এই ঘটনার বেশ কয়েক সপ্তাহ পরে মুম্বই পুলিশ রাকেশকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে সুনীল ভিথর গায়কোড়ে নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে। সুনীলের বিরুদ্ধে তার আগে বেশ কয়েকটি খুনের অভিযোগ ছিল। সেই সময় অত্যন্ত খারাপ পরিস্থিতিতে ছিল রোশন পরিবার। এক দিকে বাড়ির ছেলের অভিনেতা হিসাবে আত্মপ্রকাশ। অন্য দিকে বাড়ির কর্তা মৃত্যু শয্যায়। পরে এক সাক্ষাত্কারে রাকেশের স্ত্রী পিঙ্কি রোশন বলেছিলেন, ‘আমরা এক অন্ধকার সময় পেরিয়ে এসেছি। সেই পরিস্থিতি কী করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না।
আরও পড়ুন:– পাইলটরা দাড়ি রাখতে পারেননা, কারণটা যেমন চমকপ্রদ, তেমনই যুক্তিসঙ্গত
আরও পড়ুন:– হতাশার মধ্যেও আশার আলো দেখিয়েছে, ট্রেডিং করলে এ সপ্তাহে নজর রাখুন এই তিন স্টকে