Bangla News Dunia, দীনেশ : বেআইনিভাবে বসবাসকারীদের আমেরিকা ছাড়া করতে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অভিযানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শপথগ্রহণের আগেই তাঁর প্রতিশ্রুতি পালনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট পদের দায়িত্ব নেবেন ট্রাম্প। তার ঠিক পরের দিন থেকেই আমেরিকায় শুরু হয়ে যাবে বেআইনি অভিবাসী বিতাড়ন অভিযান। এর ফলে কয়েক লক্ষ অভিবাসী সমস্যায় পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অভিবাসন দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শিকাগো থেকে বেআইনি অভিবাসীদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করার কাজ শুরু হবে। তারপর ধাপে ধাপে গোটা দেশে অভিযান চালানো হবে। শিকাগোতে অভিযান চালাতে অভিবাসন এবং কাস্টমস আধিকারিকদের ২০০ জনের একটি দল গঠন করা হয়েছে। ওই আধিকারিকের বক্তব্য, ‘আমরা সারা দেশে অভিযান চালাতে চলেছি। নিউ ইয়র্কে গ্রেপ্তারি দেখতে পাবেন। মিয়ামিতেও গ্রেপ্তারি দেখতে পাবেন।’ একধাপ এগিয়ে ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির প্রধান টম হোমানের হুঁশিয়ারি, ‘আমরা শিকাগো, ইলিনয় থেকে শুরু করতে চলেছি। যদি শিকাগোর মেয়র সাহায্য করতে না চান তাহলে তিনি সরে যেতে পারেন। কিন্তু যদি তিনি আমাদের বাধা দেন, যদি জেনে-শুনে কোনও অবৈধ বিদেশিকে আশ্রয় দেন বা লুকিয়ে রাখেন, আমি তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করব।’
আরো পড়ুন :- ২টো কম্পিউটার আর দুজনের টিম, মাসে মাসে ঘরে বসে আয় ১.৫ লক্ষ টাকা ! একদম নতুন ব্যবসা
মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্প প্রথম যে বিলে সই করতে পারেন সেটি হল লেকেন রিলে অ্যাক্ট। এই আইনের আওতায় পুলিশ চুরি ও হিংসায় অভিযুক্ত অভিবাসীদের গ্রেপ্তার করতে পারবে। গত বছর জর্জিয়ায় ভেনেজুয়েলা থেকে আসা এক অভিবাসীর হাতে খুন হয়েছিলেন লেকেন নামে একজন পড়ুয়া। তাঁর নামেই আইনের নামকরণ করা হয়েছে। ওই খুনের পর জো বাইডেন সরকারের অভিবাসন নীতির কড়া সমালোচনা করেছিলেন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট ভোটের প্রচারেও সেই সুর ধরে রেখেছিলেন তিনি। যদিও সরকারি পরিসংখ্যান অন্য কথা বলছে। বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর আমেরিকা থেকে ২.৭১ লক্ষ বেআইনি অভিবাসীকে নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। যা ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের শাসনকালের চেয়ে অনেক বেশি।
আরো পড়ুন :- সাংবাদিকের সঙ্গে প্রেমে মজে মেসি? মুখ খুললেন মার্তিনেজ়
এদিকে মার্কিন সরকারের অন্দরে ক্ষমতার হাতবদল ছায়া ফেলছে। ট্রাম্প শপথ নেওয়ার আগেই তাঁর সহযোগীদের তরফে বিদেশমন্ত্রকের ৩ কূটনীতিককে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশে আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। এই ঘটনা বাংলাদেশ ইস্যুতে আমেরিকার অবস্থান বদলের ইঙ্গিত কি না তা নিয়ে জল্পনা চলছে কূটনৈতিক মহলে।
আরো পড়ুন :- বরফে ঢাকা গ্রিনল্যান্ড কিনতে কেন এত মরিয়া হয়ে উঠেছেন ট্রাম্প? জানতে পড়ুন বিস্তারিত