Bangla News Dunia, দীনেশ : হেতাল পারেখ হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়কে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে সংবাদের শিরোনামে এসেছিলেন ফাঁসুড়ে নাটা মল্লিক। এবার আরজি কর-কাণ্ডে দোষী সঞ্জয়ের ফাঁসির শাস্তি হলে তা কার্যকর করতে ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন নাটা মল্লিকের ছেলে। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, সঞ্জয়কে ফাঁসিতে ঝোলাতে এতটুকুও হাত কাঁপবে না তাঁর।
ফাঁসুড়ে নাটা মল্লিকের কথা ভোলেনি বাংলা। ২০০৪ সালে প্রেসিডেন্সি জেলে তিনি দড়ি টেনে ধনঞ্জয়ের ফাঁসি কার্যকর করেছিলেন। আরজি কর কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয়ের ফাঁসির শাস্তি হলে তা কার্যকর করতে চান নাটা মল্লিকের ছেলে মহাদেব মল্লিক। এদিকে শনিবারই আরজি করের অভয়ার খুন ধর্ষণ মামলায় সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করেছেন শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এই অপরাধে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে তাঁর। সোমবার দুপুরে এই মামলার সাজা ঘোষণা করবে আদালত। আর এই মামলায় দোষী সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ সাজা হবে বলে মনে করছেন নাটার পুত্র মহাদেব। মহাদেব সংবাদ মাধ্যমের কাছে ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন, ডাক পড়লে তিনি ফাঁসুড়ে হতে প্রস্তুত। তিনি আশাবাদী ফাঁসির নির্দেশ কার্যকর করার দরকার পড়লে যে তাঁর ডাক পড়তে পারে।
আরও পড়ুন:– কলকাতা CNCI ইনস্টিটিউটে কর্মী নিয়োগ চলছে! কিভাবে আবেদন করবেন দেখুন বিস্তারিত
কলকাতা পুরসভার কর্মী মহাদেব। বর্তমানে মহাদেবের বয়স ৬০ ছুঁইছুঁই। তিনি ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের ফাঁসির সময় প্রেসিডেন্সি জেলে বাবার সহকারী হিসাবে ছিলেন। এই প্রসঙ্গে মহাদেব বললেন, “ফাঁসি দিতে হলে সরকার আমাকে ডাকবে। এই কাজটা তো সবাই করতে পারে না। ডাকলে যাব! আমি বাবার কাছ থেকে যতটা শিখেছি, করতে পারব। অসুবিধা হবে না।” তিনি আরও বলেন, “আরজি করের ডাক্তার অভয়াকে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। তাই দোষীর ফাঁসির সাজা হলে ফাঁসিতে ঝোলাতে হাত কাঁপবে না, বুকও কাঁপবে না। আগেও এই কাজ করেছি। বাবার শরীর খারাপ থাকলে তো আমাকেই করতে হত সব!” মহাদেবের আক্ষেপ, “সঞ্জয় একা এই কাজ করেনি। একা এটা ও করতেই পারে না। আরও যারা আছে, তারা তো ধরাই পড়ছে না।”
আরও পড়ুন:– রহস্যের জট খুলতে কাশ্মীরের গ্রামে এবার কেন্দ্রীয় দল, জানতে বিস্তারিত পড়ুন
প্রসঙ্গত, সোমবার শিয়ালদহ আদালতে সাজা ঘোষণা হবে সঞ্জয়ের। ফাঁসির নির্দেশ হলেই যে সঞ্জয়ের ক্ষেত্রে তা কার্যকর করা হবে, তা নয়। এই নিম্ন আদালতের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে যেতে পারবেন সঞ্জয়। প্রথমে তাঁকে হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে আবেদন জানাতে হবে। সেখানে নিম্ন আদালতের নির্দেশ বহাল থাকলে সঞ্জয় আবেদন জানাতে পারবেন ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেও না-হলে সুপ্রিম কোর্টেও যাওয়ার পথ খোলা থাকছে তাঁর। যদি ফাঁসির নির্দেশ হয় এবং শীর্ষ আদালত তা বহাল রাখে, সে ক্ষেত্রে সঞ্জয়ের শেষ ভরসা রাষ্ট্রপতি। তাঁর কাছে ক্ষমাভিক্ষা করতে হবে সঞ্জয়কে। রাষ্ট্রপতি ক্ষমা না-করলে সেক্ষেত্রে ফাঁসি কার্যকর করতে ডাক পড়তে পারে নাটা পুত্র মহাদেবের।
আরও পড়ুন:– মহিলাদের প্রতিমাসে 32 হাজার টাকা দিচ্ছে কেন্দ্র। চালু হল নতুন প্রকল্প। টাকা পেতে হলে কী করতে হবে?