আয়ের নিরিখে আঞ্চলিক দলের তালিকায় ১ নম্বরে তৃণমূল, লিস্টে বাকিরা কোথায় ?

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

mamata and tmc

Bangla News Dunia, Pallab : নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলি কমিশনকে বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রতি অর্থ বছরে পেশ করে থাকে। আর সেই প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে ২০০৩-২৪ অর্থ বছরে ইলেক্টোরাল বন্ড থেকে আয়ের ব্যাপক সুযোগ পেয়েছিল আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু গত বছর ফেব্রুয়ারি থেকে রাজনৈতিক দলগুলির ইলেক্টোরাল বন্ড থেকে আয় করার প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল ইলেক্টোরাল বন্ড থেকে ওই সময়ে সবচেয়ে বেশি আয় করেছে যে রাজনৈতিক দল সেটি হল তৃণমূল কংগ্রেস।

আরও পড়ুন:– ব্রিটেনই ভেঙে দিয়েছিল ভারতের উৎপাদন শিল্পের কোমর, কত টাকা লুট করেছিল তারা?

তালিকায় প্রথম বাংলার তৃণমূল কংগ্রেস !

জানা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ইলেক্টোরাল বন্ড থেকে ৬১২ কোটি টাকা আয় লাভ করে তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এবং সেই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত রাষ্ট্র সমিতি। আর এই দল ইলেক্টোরাল বন্ড থেকে ওই অর্থ বছরে প্রায় ৪৯৬ কোটি টাকা আয় করার সুযোগ পেয়েছে। পাশাপাশি আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে বন্ড থেকে আয়ে তৃতীয় স্থানে জায়গা দখল করেছে বিজু জনতা দল। তাদের মোট আয়ের পরিমাণ ২৪৫ কোটি টাকা। অপরদিকে ১৭০ কোটি টাকা পেয়ে চতুর্থ স্থানে আছে তেলুগু দেশম পার্টি।

বিজেপি শাসিত রাজ্যে বিরোধী দলের আয় কম

জানা গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টির আয় বন্ড থেকে খুবই কম হয়েছে। যেখানে প্রথম চারটি দল অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেস, ভারত রাষ্ট্র সমিতি, বিজু জনতা দল এবং তেলুগু দেশম পার্টি অনেক আয় করেছে। সেখানে সেই আয়ের তুলনায় উত্তর প্রদেশের ওই দুই দলের আয় অনেকটাই কম। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা আসলে দেশের বৃহত্তম রাজ্য উত্তরপ্রদেশে শাসক দল বিজেপি থাকার জন্য এই দুই বিরোধী দলের বন্ড থেকে কম আয় হয়েছে। …

উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি তামিলনাড়ুর দুই প্রধান রাজনৈতিক দলও বন্ডের থেকে কম আয় করেছে। আর এই প্রধান দুই দল হল ডিএমকে এবং এআইএডিএমকে। আর্থিক ভাবে অনেক সবল ওই রাজ্যের প্রধান দল দুটির আয়ও নিম্নমুখী হওয়ায় সকলেই অবাক হয়ে গিয়েছে। আর এই আবহে সবচেয়ে নজরকাড়া বিষয় হল যে উদ্দেশে নির্বাচনী বন্ড বাতিল করা হয়েছিল, সেটার গুরুত্ব দিতে ধীরে কমতে শুরু করেছে। আসলে যে মুহূর্তে শীর্ষ আদালত নির্বাচন বন্ড বাতিল বলে রায় ঘোষণা করেছে, সঙ্গে সঙ্গে বিকল্প পন্থা অবলম্বন করছে ভারতের কর্পোরেট সংস্থা ও রাজনৈতিক দলগুলি।

জানা গিয়েছে নির্বাচনী বন্ডের বদলে ভারতের কর্পোরেট সংস্থা ও রাজনৈতিক দলগুলি এখন নির্বাচনী ট্রাস্ট ব্যবহার করছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে থাকছে না কোনো গোপনীয়তা। অর্থাৎ যদি কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা নির্বাচনী ট্রাস্টের মাধ্যমে কোনও রাজনৈতিক দলকে অনুদান দেন বা দেয়, তাহলে সেই দাতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ্যে আনতে হবে। সেক্ষেত্রে পরিচয় গোপন রাখা যাবে না।

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন