Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বড় জয় পেল ভারত। সিন্ধু জল চুক্তির বিষয়ে ভারতের অবস্থানকেই সমর্থন করল বিশ্বব্যাঙ্ক নিযুক্ত নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ। জম্মু-কাশ্মীরে ভারতের দু’টি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে আপত্তি আছে পাকিস্তানের। বিশ্বব্যাঙ্কের নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ, নাকি কোর্ট অফ আরবিট্রেশন, কারা এই বিরোধের নিষ্পত্তি করবে, তা নিয়েও দুই পক্ষে বিরোধ ছিল। সোমবার (২০ জানুয়ারি), বিশ্বব্যাঙ্কের বিশেষজ্ঞরা অবশ্য সাফ জানিয়েছেন, একমাত্র তাদেরই এই বিরোধের সমাধান করার অধিকার আছে।
জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতের কিষাণগঙ্গা এবং র্যাটেল জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের নকশা নিয়ে আপত্তি রয়েছে পাকিস্তানের। তাদের অভিযোগ, এই নকশাগুলি সিন্ধু জল চুক্তি লঙ্ঘনকারী। নয়া দিল্লি এই অভিযোগ মানে না। এই বিরোধের সমাধান করবে কে?
১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু জল বণ্টন চুক্তি হয়েছিল। গ্যারান্টার ছিল বিশ্বব্যাঙ্ক। চুক্তি অনুযায়ী, দুই পক্ষে মতবিরোধ দেখা দিলে, সমস্যার ধরণের উপর নির্ভর করে বিষয়টি নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ বা কোর্ট অফ আরবিট্রেশনে পাঠানো হবে।
এ ক্ষেত্রে, ২০১৬ সালে বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ নিয়োগের দাবি জানিয়েছিল পাকিস্তানই। পরে অবশ্য তারা সেই অনুরোধ প্রত্যাহার করে। কোর্ট অফ আরবিট্রেশনে যেতে চায়। ভারত বলেছিল, এই বিরোধের সমাধান করতে পারে নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞই।
এর পর কারা এর সমাধান করবে, তা ঠিক করার জন্য ওই দুই প্রকল্প সম্পর্কে সাতটি টেকনিক্যাল প্রশ্ন পাঠানো হয়েছিল নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞের কাছে। সোমবার নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ রায় দিয়েছেন, এই প্রশ্নগুলি তাঁর এক্তিয়ারের মধ্যেই পড়ে। অর্থাৎ এ বার তিনি এই মামলার বিশদ পরীক্ষা করে চূড়ান্ত রায় দিতে পারবেন।
স্বাভাবিকভাবেই এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ভারত। এক বিবৃতিতে বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, ‘১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তির পরিশিষ্ট এফ-এর অনুচ্ছেদ ৭-এর অধীনে নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ যে সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন, তাকে ভারত স্বাগত জানাচ্ছে। নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞের কাছে কিষাণগঙ্গা এবং র্যাটেল জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সম্পর্কিত যে সাতটি প্রশ্ন পাঠানো হয়েছিল। সেগুলি চুক্তি মতে তাঁর এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে বলে ভারতের যে অবস্থান, তাতেই সিলমোহর দিয়েছে এই সিদ্ধান্ত।’
আরও পড়ুন:– আপনার আধার কার্ড কি অন্য় কোথাও ব্যবহার হচ্ছে! কী করে বুঝবেন? এক ক্লিকে দেখে নিন
আরও পড়ুন:– অজানা উপসর্গে পরপর ১৭ মৃত্যু, নমুনায় বিষের হদিশ, কী হচ্ছে কাশ্মীরের এই গ্রামে?