নন্দীগ্রামে রাম মন্দির, তৈরি হবে বিধানসভা নির্বাচনের আগেই ! ঘোষণা শুভেন্দুর

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

suvendu-adhikari

Bangla News Dunia, Pallab : বছর ঘুরতেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগেই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল ও বিরোধী দল বিজেপির মধ্যে এখন থেকেই শুরু করে দিয়েছে ভোটাভুটির লড়াই। তবে এই লড়াইয়ে এবার সামিল হল ধর্ম। কয়েকদিন আগেই দিঘায় ‘জগন্নাথ ধামের’ সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাজ প্রায় শেষের পথে সেই মন্দির নির্মাণে। জানা গিয়েছে চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই অক্ষয় তৃতীয়ার দিন খোলা হবে ওই মন্দির। আর এই আবহে এবার বাংলায় গেরুয়া শিবির গড়ে তুলতে চলেছে রাম মন্দির। এমনকি কোন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হবে এই মন্দির তা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করলেন শুভেন্দু অধিকারী।

আরও পড়ুন:– প্রথম দিনেই সাবস্ক্রিপশনের ঢল, এই IPO-তে লগ্নি করলে বাম্পার লাভ হতে পারে

রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তিতে মিছিল

গতকাল অর্থাৎ বুধবার অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তি উপলক্ষে নন্দীগ্রামে গেরুয়া শিবির এক পদযাত্রার আয়োজন করেছিল। আর সেই মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঠাকুরচক থেকে শুরু হয়ে রেয়াপাড়া শিবমন্দির পর্যন্ত ২ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে শুভেন্দুদের পদযাত্রা শেষ হয়। রামলালার ছবি সম্বলিত অজস্র গেরুয়া পতাকায় ভরিয়ে দেওয়া হয়েছিল মিছিল। রামলালার মূর্তির সামনে আরতিও করেন শুভেন্দু। আর সেই মিছিল থেকেই নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ায় শিব মন্দিরের সামনে রাজ্যে ‘রাম মন্দির’ নির্মাণের পণ করেন শুভেন্দু। অর্থাৎ অযোধ্যার পর এবার রামলালা স্বয়ং প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে বাংলার বুকে।

কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী?

এদিন রামমন্দির প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘সোনাচূড়াতে আমার আড়াই বিঘা একটি জায়গা রয়েছে। ওই জায়গাতেই আমরা স্থায়ীভাবে রাম মন্দির নির্মাণ করব। আগামী ৬ এপ্রিল রামনবমীর দিন যার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে। আশা করা যাচ্ছে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যে রাম মন্দিরের দরজা সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। তবে শুধু নন্দীগ্রাম নয়, মুর্শিদাবাদেও নাকি প্রতিষ্ঠিত হবে রাম মন্দির। কিন্তু কয়েক মাস আগে মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদ তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ূন কবির। অর্থাৎ এই মুহূর্তে বাংলায় দুই দলের মধ্যে চলছে মন্দিরের লড়াই।

যদিও ২০২৪ সালে অযোধ্যার রাম মন্দিরের ভাবাবেগকে কাজে লাগিয়ে লোকসভা নির্বাচনে ফায়দা তোলার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। যা নিয়ে নির্বাচনের ফলাফলের ক্ষেত্রে রাজনীতির শিবিরে বাক বিতণ্ডামূলক পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছিল। তবে রাজ্যের ক্ষেত্রে সেটা আদৌ কাজে লাগেনি বলেই ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন