ভাগীরথীর চরে পরিযায়ী পাখিদের ভিড়, শীতের একবেলা কাটাতে পারেন এখানে

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- জাঁকিয়ে ঠান্ডা না পড়লেও বঙ্গে শীতের আমেজ থাকছে। সেই সুযোগে পিকনিক করে আসুন চুপির চর থেকে। নবদ্বীপের খুব কাছেই রয়েছে পূর্বস্থলীতে রয়েছে এই জায়গায়। পূর্বস্থলীর এই অংশে ভাগীরথীর একটি শাখা অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ হয়ে গঙ্গায় গিয়ে মিশেছে। ওই হ্রদই এখন বাঙালি নয়া ‘ওয়ান ডে ট্রিপ’-এর ডেস্টিনেশন: চুপির চর। গ্রাম বাংলার সৌন্দর্য তো রয়েছে। চুপির চরে উপরি পাওনা হলো পরিযায়ী পাখি। তাই এই জায়গার আরেক নাম কাষ্ঠশালী পাখিরালয়।

শীত পড়লেই দেশ-বিদেশের পাখিরা ভিড় করে চুপির চরে। তাদের দেখতেই পর্যটকেরাও ছুটে যান সেখানে। এখানে রেড ক্রেস্টেড পোচার্ড, লেসার হুইসলিং, রিভার ল্যাপ উইং, ব্ল্যাক আইরিশ, রুডি শেলডাক, লিটল সুইফট, হোয়াইট ব্রোড ওয়াগটেল, গ্রে হেরন, স্মল প্রাটিনকোল, পার্পল হেরন, গ্রিন বি ইটার, অসপ্রের মতো বিভিন্ন প্রজাতির পাখির দেখা মেলে। যদিও এই বছর অনেকটাই কমে গিয়েছে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা। কিন্তু তাতে কী হয়েছে? চুপির চরের শান্ত ও মনোরোম পরিবেশে বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে চড়ুইভাতিতে মেতে উঠতে পারেন।

আরও পড়ুন:– হাওড়ার রাবার পার্কে দেড় হাজার কোটি টাকার লগ্নির আশা, হবে ১০০০০ কর্মসংস্থান

শীতের দুপুরে মিঠে রোদে গায়ে মেখে ভাগীরথীর জলে পরিযায়ী পাখিদের কীর্তিকলাপ দেখতে চুপির চর পৌঁছে যান। যে হেতু এই অংশে ভাগীরথী হ্রদ গঠন করেছে, তাই জলের স্রোত নেই। সবুজ জলজ উদ্ভিদে ঘেরা গোটা হ্রদ। নৌকায় চেপে ঘুরে দেখতে পারেন গোটা চুপির চর। ছবি তোলার জন্য আদর্শ জায়গা। পাখি দেখা, ছবি তোলা আর সবুজ, শান্ত পরিবেশ উপভোগ করা— চুপির চরে এই তিনটি মাত্র কাজ। যদিও এই তিন কাজ সারতেই আপনার গোটা দিনটা কেটে যাবে।

হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকে কাটোয়াগামী ট্রেনে চেপে পৌঁছে যান পূর্বস্থলী। এই পূর্বস্থলী স্টেশন থেকে টোটোতে চেপে সোজা পৌঁছে যান চুপির চর। লং ড্রাইভ পছন্দ করলে গাড়ি নিয়েও যাওয়া যায় এখানে। কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে ধরে কালনা হয়ে পৌঁছে যান পূর্বস্থলী স্টেশন। তার পর সোজা কাষ্ঠশালী পাখিরালয়।

আরও পড়ুন:– কপিল শর্মা, রাজপাল যাদব-সহ ৪ তারকাকে প্রাণে মারার হুমকি, পাকিস্তান থেকে ই-মেল

আরও পড়ুন:– লক্ষ্মীবারে লক্ষ্মীলাভ এই দুই IT কোম্পানির, কেন এক লাফে এতটা বাড়ল শেয়ার দর ?

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন