এ মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশ নিষেধ, হোলি-দিওয়ালিতে চলে ভূত তাড়ানো !

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- নারীশক্তির জয়গান বিশ্বজুড়ে গাওয়া হলেও এমনকিছু জায়গা রয়েছে যেখানে মহিলাদের এখনও যাওয়ার অনুমতি নেই। এমনই একটি জায়গা রয়েছে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে ৷ এই মন্দিরের গায়ে স্পষ্ট ব্যানারে লেখা, মহিলাদের প্রবেশ করা যাবে না ৷ বছরের পর বছর ধরে চলছে এই নিয়ম ৷ কিন্তু কেন এই অদ্ভূত নিয়ম ? তবে গোয়ালিয়রের কুনওয়ার বাবার মন্দিরে ভূত তাড়ানোর বিশেষ বন্দোবস্ত করা হয় হোলি, দিওয়ালি থেকে ভাইফোঁটার দিন ৷

মানুষ শৃঙ্খলা সঠিকভাবে অনুসরণ করতে না-পারলেও বিশ্বাসের ভিত্তিতে সমস্ত নিয়ম মেনে চলে। এই কারণেই আজও মহিলারা মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে নির্মিত কুনওয়ার মহারাজের মন্দিরে পা-রাখেন না। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশের চম্বল অঞ্চলে এই কুনওয়ার বাবার মন্দির রয়েছে ৷ নিত্যপুজো হয় এই মন্দিরে ৷ মহলগাঁওয়ের কুনওয়ার বাবা ছিলেন রতনগড়ের এক মাতার সন্তান। এখানে বিপুল সংখ্যক ভক্তের সমাগম হয়। বিশেষ করে হোলি ও দীপাবলি, ভাইফোঁটায় এখানে দরবার বসে এবং ভূত তাড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়।

আরও পড়ুন:– হাওড়ার রাবার পার্কে দেড় হাজার কোটি টাকার লগ্নির আশা, হবে ১০০০০ কর্মসংস্থান

WOMEN ENTRY BANNED IN TEMPLE

কুনওয়ার বাবার মন্দিরে ভূত তাড়ানোর বিশেষ বন্দোবস্ত করা হয়

নিয়ম অনুযায়ী এখানে আগত মহিলারা মন্দিরে প্রবেশ না-করলেও বাইরে থেকে প্রদক্ষিণ করেন। তাঁদের মনোস্কামনা তাঁরা কুনওয়ার মহারাজকে জানান দূর থেকেই ৷ এই মন্দিরের পুরোহিত মহামণ্ডলেশ্বর কপিল মুনি মহারাজ বলেন, “রতনগড়ের মাতা এবং তার ভাই কুনওয়ার মহারাজকে দেবতার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। দুই ভাইবোন ছিলেন দেবী দুর্গার পরম ভক্ত। কুনওয়ার বাবা রতনগড়ের বোন ও মায়েদের রক্ষা করতে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি সারাজীবন ব্রহ্মচর্য পালন করেছিলেন। এমনকী তিনি বিয়েও করেননি ৷ তাঁর সমস্তকিছু শুধুমাত্র ছিল মা-বোনেদের প্রতি প্রতি ভক্তির জন্য। এই কারণে, তাঁর মন্দিরেও ব্রহ্মচর্যের অনুশাসন অনুসরণ করা হয়।”

 

কোনও মহিলা যাতে ভুল করে মন্দিরে প্রবেশ করতে না-পারে তাই মন্দিরে একটি নোটিশ বোর্ড লাগানো হয়েছে ৷ তাতে লেখা, “কুনওয়ার মহারাজ মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশ নিষেধ।”

WOMEN ENTRY BANNED IN TEMPLE

মন্দিরের গায়ে স্পষ্ট ব্যানারে লেখা, মহিলাদের প্রবেশ করা যাবে না

 

পুরোহিত কপিল মুনি আরও বলেন, “কুনওয়ার মহারাজও গুরু গোরক্ষনাথের পুজো করতেন ও নিত্যসাধনা করতেন। তাঁর সাধনায় খুশি হয়ে গুরু গোরক্ষনাথ তাঁকে ভূতের রাজা হওয়ার আশীর্বাদ করেছিলেন। সেই কারণেই ভূত-প্রেত দ্বারা বিপর্যস্ত মানুষরাও তাদের থেকে মুক্তি পেতে এখানে আসেন। প্রতি সোমবার এখানে বাবার দরবার হয়। বিশেষ করে হোলি, দীপাবলি ও ভাইফোঁটার দিন এখানে মেলার আয়োজন করা হয়। ওইদিনই ভূত তাড়ানোর আয়োজন করা হয় ৷

আরও পড়ুন:– কপিল শর্মা, রাজপাল যাদব-সহ ৪ তারকাকে প্রাণে মারার হুমকি, পাকিস্তান থেকে ই-মেল

আরও পড়ুন:– লক্ষ্মীবারে লক্ষ্মীলাভ এই দুই IT কোম্পানির, কেন এক লাফে এতটা বাড়ল শেয়ার দর ?

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন