জঙ্গলে এ বার থেকে বিনামূল্যে এন্ট্রি, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, কবে থেকে ?

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:-  উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্যে প্রবেশের জন্য এখন আর খরচ করতে হবে না পর্যটকদের। বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে বন দপ্তর। বক্সা, গোরুমারা, জলদাপাড়া–সহ সর্বত্র এই নিয়ম কার্যকর হয়েছে। তবে সফরের অন্যান্য কিছু খরচ আগের মতোই থাকছে। বন দপ্তরের তরফে এই নির্দেশ জারি হতেই খুশির হাওয়া ভ্রমণপিপাসুদের মধ্যে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলিপুরদুয়ায়ের প্রশাসনিক সভায় বনকর্তাদের কড়া হুঁশিয়ারি দেন। বক্সার জঙ্গলে প্রবেশ করতে পর্যটকদের টাকা দিতে হয় শুনে রেগে যান তিনি। ভরা সভায় তাঁর নির্দেশের পরেই নড়েচড়ে বসে বন দপ্তর। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে পর্যটকদের প্রবেশের জন্য কোনও খরচ লাগবে না। মুখ্যমন্ত্রী জেলা ছাড়ার আগেই বৃহস্পতিবার ফি মকুবের নোটিস জারি করেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প (পূর্ব) উপক্ষেত্র অধিকর্তা দেবাশিস শর্মা।

আরও পড়ুন:– হাওড়ার রাবার পার্কে দেড় হাজার কোটি টাকার লগ্নির আশা, হবে ১০০০০ কর্মসংস্থান

এই নোটিস জারি করেছে জলদাপাড়া বন বিভাগেও। সঙ্গে দক্ষিণ খয়েরবাড়ি চিতাবাঘ পুনর্বাসন কেন্দ্রকেও এখন থেকে পর্যটকদের অবাধ প্রবেশের আওতায় আনা হয়েছে। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের সহকারি বন্যপ্রাণ সংরক্ষক নভোজিত দে বলেন, ‘বিভাগীয় নির্দেশ আসার পরেই পর্যটকদের জঙ্গলে প্রবেশের ফি মকুব করা হয়েছে।’

গোরুমারার বিভিন্ন নজরমিনারে প্রবেশের ক্ষেত্রে মাথাপিছু প্রায় ২০০ থেকে ২৯০ টাকা টিকিট বাবদ খরচ গুনতে হয় পর্যটকদের। শুধু তাই নয়, জঙ্গলে বেড়াতে যেতে টিকিটের পাশাপাশি দিতে হয় রোড পার্কিং ফি। বিগত কয়েক বছরে টিকিটের মূল্য ক্রমাগত বাড়িয়েই চলছিল বন দপ্তর। এর জেরে মধ্যবিত্তদের জঙ্গলে ভ্রমণের ইচ্ছা থাকলেও খরচের কথা ভেবে অনেকে পিছিয়ে যেতেন। সেই পরিস্থিতি এ বার পাল্টে যাচ্ছে।

গোরুমারার আওতাধীন যাত্রপ্রসাদ, চাপড়ামারি, মেদলা, চুকচুকি নজরমিনারে পর্যটকেরা দিনে মোট চারবার বেড়াতে যাওয়ার সুযোগ পান। একমাত্র চন্দ্রচূড় নজরমিনারটি বেহাল থাকার কারণে বন্ধ আছে। প্রত্যেকটির ক্ষেত্রে একাধিক ফি আদায় করা হয়। প্রতিটি নজরমিনারের ফি আবার আলাদা। যেমন যাত্রাপ্রসাদে সকাল ও দুপুরের ক্ষেত্রে ২১০ ও বিকেলের শিফটে ২৯০ টাকা এন্ট্রি ফি নেওয়া হয় মাথাপিছু। জিপসির খরচ এখানে ১৩৩০ টাকা। জিপসি পার্কিং ফি ৪৮০ টাকা। গাইডের জন্য ৩৫০ টাকা দিতে হয়। বন দপ্তর সূ্ত্রের খবর, এন্ট্রি ও জিপসি পার্কিং ফি নেওয়া হবে না শুক্রবার থেকে। প্রতিটি জিপসিতে ছ’জন যাত্রী থাকতে পারেন, তাঁদের জন্য একজন গাইড। এর ফলে খরচ বেশ কিছুটা কমবে।

মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সেই খরচ এক ধাক্কায় অনেকটা কমে যাওয়ায় খুশির হাওয়া পর্যটকদের মধ্যে। ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসায়ী উজ্জ্বল শীল বলেন, ‘প্রতি বছর বহু পর্যটক গোরুমারা সহ ডুয়ার্সের পাহাড়, অরণ্যে বেড়াতে আসেন। এক ধাক্কায় বেশ কিছুটা খরচ কমলে পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশা করছি।’ ডুয়ার্স ডেভেলপমেন্ট ফোরামের সম্পাদক দিব্যেন্দু দেবের বক্তব্য, ‘লাটাগুড়ি–সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় বছরভর শুধুমাত্র জঙ্গলে বেড়াবার জন্য অনেক পর্যটক আসেন। গোরুমারার প্রবেশে টিকিট না লাগায় স্বাভাবিক ভাবেই অনেকেই জঙ্গল ভ্রমণ করতে আগ্রহী হবেন।’

উত্তরবঙ্গের বন্যপ্রাণ বিভাগের মুখ্য বনপাল ভাস্কর জেভি বলেন, ‘আপাতত গোরুমারায় প্রবেশের ক্ষেত্রে পর্যটকদের টিকিট ও রোড ফি লাগছে না। এ দিন থেকেই এই নিয়ম চালু হয়ে গিয়েছে। গোরুমারায় সাপ্তাহিক ছুটি বৃহস্পতিবার থাকায় শুক্রবার থেকেই নয়া নিয়ম চালু হচ্ছে।’

আরও পড়ুন:– কপিল শর্মা, রাজপাল যাদব-সহ ৪ তারকাকে প্রাণে মারার হুমকি, পাকিস্তান থেকে ই-মেল

আরও পড়ুন:– লক্ষ্মীবারে লক্ষ্মীলাভ এই দুই IT কোম্পানির, কেন এক লাফে এতটা বাড়ল শেয়ার দর ?

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন