কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি হেলে পড়ার এই পরিস্থিতিতে কি বললেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম ?

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- হেলে পড়া বাড়ি সোজা করতে গিয়ে সেই বাড়িরই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়া। দক্ষিণ শহরতলির বাঘা যতীনের কাছে বিদ্যাসাগর কলোনির ঘটনা, ১৪ জানুয়ারি। তার পর বুধবার সকালে ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে পাশাপাশি থাকা একটি বহুতল এবং একটি নির্মীয়মাণ বহুতল একে অন্যের গায়ে হেলে পড়েছে।

আবার, বৃহস্পতিবার বেলেঘাটা মেন রোডে ট্যাংরার ঘটনারই এক রকম পুনরাবৃত্তি। সেখানে ৯ বছরের পুরোনো একটি বাড়ি হেলে পড়েছে পাঁচ বছরের পুরোনো একটি বাড়ির গায়ে। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি হেলে পড়ার এই পরিস্থিতিতে মেয়র ফিরহাদ হাকিম অবশ্য জানিয়ে দিলেন, হেলে পড়া বাড়ি মানেই বিপজ্জনক নয়।

বৃহস্পতিবার ফিরহাদ বলেন, ‘বাড়ি হেলে যাওয়ার অনেক কারণ থাকে। তাই, হেলে পড়া বাড়ি মানেই বিপজ্জনক বাড়ি, এমনটা মনে করার কোনও কারণ নেই। কলকাতায় এ রকম হেলে পড়া বাড়ি অনেক রয়েছে।’ তবে কলকাতায় এত বাড়ি কেন হেলে পড়ছে, তার কারণ পুরসভা খুঁজে দেখবে বলে মেয়র জানিয়েছেন। ট্যাংরার হেলে পড়া ফ্ল্যাটবাড়িতে বুধবারও ১১টি পরিবার থেকে গিয়েছে। ওই বাড়ি এবং তার পাশের নির্মীয়মাণ বহুতলের গায়ে পুরসভা বিপজ্জনক বাড়ির নোটিস টাঙিয়ে দিয়েছে। বিপজ্জনক বাড়িতে এখনও যে আবাসিকরা রয়েছেন, তিন দিনের মধ্যে তাঁদের বাড়ি ফাঁকা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুরসভার তরফে।

আরও পড়ুন:– Jio গ্রাহকদের জন্য সুখবর! ট্রাইয়ের নির্দেশ মেনে দু’টি সস্তার প্ল্যান আনল Jio, জেনে নিন বিস্তারিত

মেয়র জানান, বৃহস্পতিবার ট্যাংরার ওই বাড়ির ‘স্ট্রাকচারাল স্টেবিলিটি’ পরীক্ষা করার কাজ শুরু করছেন পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা। এ ব্যাপারে ইঞ্জিনিয়ারদের রিপোর্ট দেখেই ঠিক করা হবে, ওই বাড়ির কতটা ভাঙতে হবে। তবে ট্যাংরার হেলে পড়া দু’টি বাড়ির জমির মালিকরা পুরসভাকে এখনও পর্যন্ত কোনও স্যাংশন্‌ড প্ল্যান দেখাতে পারেননি বলে মেয়রই এ দিন জানান।

স্বভাবতই বিরোধীদের প্রশ্ন, স্যাংশনই যদি না–থাকে, তা হলে একই তল্লাটে পাশাপাশি দু’টো পাঁচ–ছ’তলা বাড়ি কী ভাবে উঠতে পারে? এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর অবশ্য পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের অফিসারদের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।

কলকাতার বিভিন্ন বহুতলের মালিকদের তাঁদের আবাসনের স্ট্রাকচারাল স্টেবিলিটি কতটা, সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট দিতে পুরসভার তরফে অনুরোধ করা হয়েছে। মেয়র বলেন ‘পুরসভা এটা কোনও নিয়ম করেনি। আবেদন জানিয়েছে।’

এ দিনই কলকাতা পুর এলাকার ১৫ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান রঞ্জিত শীলের দাবি, বেআইনি নির্মাণ ভেঙে পড়ে গার্ডেনরিচে ১৩ জনের মৃত্যুর ঘটনার বছর খানেক হতে চললেও সেখানে বেআইনি নির্মাণের ছবিটা একটু বদলায়নি। উল্টে, সেখানে বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে গেলে বাধা দেওয়া হচ্ছে, ইঞ্জিনিয়ারদের মারধরও করা হচ্ছে বলে রঞ্জিত অভিযোগ করেন। মেয়র অবশ্য বলছেন, ‘গার্ডেনরিচে ৬০ বছরের পুরোনো বাড়িও রয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ করা সম্ভব নয়। তবে গার্ডেনরিচে এক বছরে অনেক বেআইনি নির্মাণ চিহ্নিত করেছেন পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা।’

এ দিন কলকাতা পুরসভার ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার, বিজেপির সজল ঘোষের কটাক্ষ, ‘উন্নয়ন হেলে পড়েছে। তাই কলকাতায় বেআইনি নির্মাণেরও রেগুলারাইজ়েশন হচ্ছে।’ তবে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, ‘রেগুলারাইজ়েশনের একটা সীমা আছে। গোটা নির্মাণ বেআইনি হলে সেটা কখনও রেগুলারাইজ় করা হয় না।’

আরও পড়ুন:– লৌহযুগের শুরু তামিলনাড়ুতে, 5,300 বছরের পুরনো তরোয়াল হাতিয়ার স্ট্যালিনের

আরও পড়ুন:– ট্রেন ও রাস্তা বন্ধে বালি ব্রিজে যাত্রী হয়রানি, কাজ চলবে আরও তিনদিন

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন