Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ‘আখো মে তেরি, অজব সি অজব সি আদায়ে হ্যায়…’। ২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ওম শান্তি ওম’ ছবির বিখ্যাত সেই গানের জাদু আবার ফিরল মহাকুম্ভের হাত ধরে। অন্তত নেটিজ়েনরা তেমনটাই বলছেন। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভের মেলায় পুঁতি, পাথরের মালা বিক্রি করতে দেখা গিয়েছে মোনালিসা নামে এক তরুণীকে। তাঁর গমের মতো গায়ের রং, অ্যাম্বার (হলুদ, কমলা, বাদামি, লাল আভা মেশানো রং) চোখ, ভুবন ভোলানো হাসিতে মুগ্ধ সোশ্যাল মিডিয়া। অনেকে তো নামও দিয়ে ফেলেছেন ‘ব্রাউন বিউটি’। লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির সৃষ্টির সঙ্গে নাম মিলে যাওয়া এই মোনালিসাও কিন্তু এখন বহু মানুষের হার্টথ্রব।
মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের বাসিন্দা মোনালিসা ভোঁসলে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্স হ্যান্ডলে রীতিমতো অ্যাক্টিভ। তবে কুম্ভমেলায় ঘুরে ঘুরে রঙিন পুঁতির মালা, রুদ্রাক্ষের মালা বিক্রি করে রাতারাতি জনপ্রিয় এই কিশোরী। তাঁরও সাজে, পোশাকে কেয়ারলেস বিউটির ছোঁয়া।
কখনও পালাজ়োর সঙ্গে টপ, তার উপর জ্যাকেট, কখনও সালোয়ার কামিজ, কখনও আবার র্যাপার-টপ। লম্বা চুলে ঢলঢলে বিনুনি, কানে ঝুমকো, নাকফুল। পরিবারের সঙ্গেই এসেছে কুম্ভে মালা বিক্রি করতে।
খুবই দরিদ্র ঘরের মেয়ে। মধ্যপ্রদেশের মহেশ্বরে তার যে বাড়ির খোঁজ মিলেছে, তাও সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মুহূর্তে চর্চায়। ইটের উপর সাদা রং, ছাদ ছাওয়া হয়েছে বাঁশ, পলিথিনে। সেই সাদা রঙের উপর লাল ফুলের ছাপ। মোনালিসার পূর্ব পুরুষেরা রাজস্থানের। ৩৫-৪০ বছর হলো মধ্যপ্রদেশে থাকে তারা।
কুম্ভে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়ে মোনালিসার এই জনপ্রিয়তায় কিছু চাপে পরিবারের লোকজন। মোনালিসার দাদুর কথায়, ‘লোকজন নাতনিকে দেখলেই ক্যামেরা নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ছে। ও নিজের কাজটাই করতে পারছে না। মালা বিক্রিই হচ্ছে না।’ সূত্রের খবর, আপাতত তাই পসার গুটিয়ে বাড়ির পথে রওনা দিয়েছে তারা।