Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ‘আহ্নিক করার সময়ে পিছনে হেলান দিয়ে বসবেন’, প্রবীণের মেডিক্যাল রিপোর্ট হাতে নিয়ে তাঁকে বলছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। চিকিৎসকের দেওয়া পরামর্শ মেনে চলা নিয়ে তিনি সতর্ক করলেন সেবাশ্রয় স্বাস্থ্য শিবিরে পরিষেবা নিতে আসা লোকজনকে। শুনলেন তাঁদের সমস্যার কথা। প্রয়োজন মতো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন। বাংলার দুঁদে তরুণ রাজনীতিক তখন শিবিরে উপস্থিত সাধারণ মানুষের ঘরের ছেলে। আর ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের সাহায্যের আশ্বাসে মনে জোর পেলেন শিবিরে আসা লোকজন।
এ দিন ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের অধীন বিষ্ণুপুরের পানাকুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত মাঠে ‘সেবাশ্রয় শিবির’ পরিদর্শন করতে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে কৃতি মান্না নামে এক শিশুর বাবা-মা তাঁর কাছে মেয়ের চিকিৎসার জন্য সাহায্য চান। তাঁরা বলেন, মেয়ের চিকিৎসার জন্য একটি বিশেষ ইঞ্জেকশনের প্রয়োজন রয়েছে, যা দিল্লি এইমস-এ পাওয়া সম্ভব। এ নিয়ে সেবাশ্রয়ের স্বেচ্ছাসেবক ও ডাক্তারদের সঙ্গে পরামর্শ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ওই ইঞ্জেকশন যাতে কলকাতাতেই দেওয়া যায়, তার ব্যবস্থা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিন অন্য এক শিশুর পরিবার অভিষেককে জানান, তাঁদের সন্তানের জন্মের পর থেকেই জিনগত কিছু সমস্যা রয়েছে। শিবিরে উপস্থিত চিকিৎসকরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানান, এসএসকেএম হাসপাতালে জিনগত রোগের চিকিৎসার জন্য ক্লিনিক রয়েছে। সাংসদ ওই শিশুর পরিবারকেও চিকিৎসায় সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন।
এ দিন যে সব প্রবীণ চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন তাঁদের কাছে গিয়েও কথা বলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শোনেন তাঁদের কথাও।
বিষ্ণুপুরের এক প্রবীণ বাসিন্দা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানান, তাঁর নার্ভের সমস্যা রয়েছে। তাঁকে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে বলেন সাংসদ। প্রবীণ জানান, আহ্নিক করার সময়ে তাঁর সমস্যা হয়। এই সমস্যা শোনার পরে প্রবীণকে হেলান দিয়ে আহ্নিক করতে বলার পরামর্শও দেন অভিষেক। প্রয়োজনে পরবর্তী ক্যাম্পগুলিতেও ওই প্রবীণ চিকিৎসার জন্য আসতে পারেন বলে তাঁকে জানান সাংসদ।