Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- খ্যাতির হাজার এক বিড়ম্বনা। প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ মেলায় মালা বিক্রি করে রাতারাতি প্রচারের আলোয় এসেছেন মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের তরুণী মোনালিসা ভোঁসলে। সেই জনপ্রিয়তা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, তাঁর ব্যবসা লাটে ওঠার জোগাড়। শুধু তাই নয়, প্রশ্নের মুখে তাঁর নিরাপত্তাও।
এখন লাইক, শেয়ার, কমেন্ট, রিচ-এর যুগ। এই নিক্তিতেই জনপ্রিয়তার জল মাপা চলে। এই চার শব্দের কৃপা হলে, কেউ অতি সাধারণ থেকেও রাতারাতি তারকা হয়ে যেতে পারে। সে পকেট পরোটা বিক্রেতা রাজুদা হোক বা কুম্ভে মালা বিক্রেতা মোনালিসা।
কুম্ভমেলায় রঙিন পুঁতির মালা, রুদ্রাক্ষের মালা বিক্রি করে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়েছেন মোনালিসা। তাঁর ডাস্কি বিউটি, অ্যাম্বার-আই, শান্ত-মিষ্টি হাসিতে মজেছে সোশ্যাল মিডিয়া। আর এই মজে যাওয়া পাবলিকই এখন মোনালিসার বিড়ম্বনার কারণ।
কিছু দিন আগেই তাঁর দাদু দাবি করেছিলেন, সেলফির আবদার নিয়ে ক্যামেরা তাক করে মোনালিসাকে সর্বক্ষণ ঘিরে রেখেছে। নাতনির জনপ্রিয়তা এত বেশি হয়ে গিয়েছে যে, লোকে আর নাতনির থেকে মালা কিনছে না। তাকে শুধু দেখতে আসছে।
এরই মধ্যে কুম্ভমেলায় মোনালিসাকে জোরজুলুমের শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি নিজেই। জানান, কুম্ভমেলার তাঁবুতে এক দিন একাই ছিলেন তিনি। হঠাৎ এক দল ছেলে ভিতরে ঢুকে পড়ে। দাবি করে, মোনালিসার বাবা তাদের ভিতরে পাঠিয়েছেন।
মোনালিসার অভিযোগ, একসঙ্গে এত জনকে দেখে ভয় পেয়ে যান তিনি। ওই যুবকরা তাঁকে ছবি তোলার জন্য জোরাজুরি করতে থাকেন। তাঁবুতে হইচই শুনে সেই সময় মোনালিসার বাবা ভিতরে চলে আসেন। মেয়ের কাছে সবটা শুনে জানান, তিনি কাউকে ভিতরে পাঠাননি।
মেয়ের নিরাপত্তা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন মোনালিসার বাড়ির লোকজন। সিদ্ধান্ত নেন, আর মেয়েকে এখানে রাখবেন না। কুম্ভ থেকে মোনালিসা ইন্দোরে বাড়িতেও চলে গিয়েছেন। মাঝে যে ক’দিন ছিলেন, মুখ ও মাথা ওড়নায় ঢেকে জনসমক্ষে যেতেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ জানুয়ারি থেকে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ মেলা শুরু হয়েছে। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই কুম্ভমেলাকে বলা হয় বিশ্বের অন্যতম শান্তিপূর্ণ জমায়েতের স্থান।
এ বারের ৪৫ দিনের কুম্ভমেলায় ৪০ থেকে ৪৫ কোটি মানুষের জমায়েত হতে পারে বলে মনে করছে উত্তর প্রদেশ সরকার।