Bangla News Dunia, Pallab : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় গত আড়াই বছর ধরে জেলে রয়েছেন। ২০২২ সালের ২২ জুলাই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। ইডির পাশাপাশি পরে সিবিআইয়ের হাতেও গ্রেফতার হন পার্থ। তবে বর্তমানে ED-র করা মামলায় জামিন পেলেও এখনও CBI এর মামলায় জেলবন্দী তিনি। প্রথম থেকেই জেলের ভিতর একাধিক বার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এমনকি তিনি এই শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে একাধিকবার জামিনের আবেদনও করেছেন আদালতে। তবে কোনো ফল মেলেনি। কিন্তু এবার পার্থের অন্য আর্জি মেনে নীল আদালত।
আরও পড়ুন:– কার্তিক মহারাজকে কেন পদ্ম সম্মান? জানতে বিস্তারিত পড়ুন
বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার আর্জি আদালতের
কয়েকদিন আগেই জেলে অসুস্থ হয়ে পড়েন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে SSKM হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানে যে চিকিৎসা হচ্ছে তাতে তিনি সুস্থ হচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন। সেই মর্মে এবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে পিটিশন জমা দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর আইনজীবী। গতকাল অর্থাৎ সোমবার, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আইনজীবী বিচারকের কাছে দাবি করেন যে রাজ্যের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএমে চিকিৎসা করিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সুস্থ হয়ে উঠছেন না। তাই বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হয়ে চিকিৎসা করাতে চান বলে আর্জি জানানো হয়। এবার সেই আর্জি গৃহীত হয়েছে আদালতে।
কী নির্দেশ দিল আদালত?
গতকাল পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর আইনজীবীর দেওয়া আবেদন খতিয়ে দেখতে SSKM-এর কাছে রিপোর্ট তলব করে আদালত। এবং হাসপাতালের তরফে জমা দেওয়া হয় রিপোর্ট। সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সুস্থ রয়েছেন। তবে তাঁর সংক্রমণের কিছু সমস্যা রয়েছ। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে বিচারক রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার অনুমতি দেন। জানা গেছে, বেসরকারি হাসপাতালে কলকাতা পুলিশ রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে।
গত সপ্তাহের সোমবার থেকে SSKM হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে তাঁকে ICU তে স্থানান্তর করা হয়েছিল। জানা যাচ্ছে, এখনও সেখানেই রাখা হয়েছে তাঁকে। কারণ, শারীরিক অবস্থান আরও অবনতি হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল যে, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যা আগে থেকেই ছিল। এখন তার সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে ক্রিয়েটিনিন, পটাশিয়াম, সোডিয়ামের মধ্যে গোলমাল। যদিও এসব কিছুর জন্য পার্থর খাদ্যাভ্যাসকেই দায়ী করা হচ্ছে। চিকিৎসকদের বক্তব্যের সঙ্গে সহমত জেল কর্তৃপক্ষও