Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- সইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনায় কি ভুল ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বই পুলিশ? এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর চর্চার মধ্যেই সোমবার ‘মিড ডে’, মহারাষ্ট্র পুলিশের সিআইডি-র এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে দাবি করেছিল, গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশি নাগরিক শরিফুল ইসলাম শেহজাদের আঙুলের ছাপের সঙ্গে সইফের বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা আঙুলের ছাপের নমুনা মিলছে না। তবে মঙ্গলবার, এই জল্পনা উড়িয়ে দিল মুম্বই পুলিশ।
এ দিন এক সাংবাদিক সম্মেলন করে মুম্বই (পশ্চিম)-এর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, পরমজিৎ সিং দাহিয়া জানিয়েছেন, সইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্তর আঙুলের ছাপের নমুনা সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে ঠিকই, তবে তার রিপোর্ট এখনও তাঁরা হাতে পাননি। কাজেই আঙুলের ছাপের নমুনা মিলছে না, এই জল্পনার কোনও অবকাশ নেই। তিনি আরও জানান, আঙুলের ছাপ নিয়ে সিআইডির রিপোর্ট না পেলেও, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অনেক মৌখিক, শারীরিক এবং প্রযুক্তিগত প্রমাণ পেয়েছেন তাঁরা।
মুম্বই পুলিশের এই কর্তা আরও দাবি করেছেন, তদন্ত সঠিক পথেই চলছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তিনি আরও জানান, কলকাতার অনেক জায়গায় থেকেছিলেন অভিযুক্ত শরিফুল। সেই বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
ডিসিপি দীক্ষিত গেদাম জানিয়েছেন, সইফ আলি খানের উপর হামলায় ঘটনায় শরিফুল ছাড়া অন্য কোনও অভিযুক্ত নেই। তবে যে যে ব্যক্তি শরিফুলের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সোমবার ‘মিড ডে’-এর এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, অপরাধস্থল থেকে মোট ১৯টি আঙুলের ছাপের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। অন্য দিকে, শরিফুলের দশটি আঙুলের ছাপ সিআইডির ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যুরোতে পাঠানো হয়েছে। ওই ১৯টি আঙুলের ছাপের সঙ্গে অভিযুক্তের ১০ আঙুলের ছাপ মেলেনি। মুম্বই পুলিশ এবং ক্রাইম ব্রাঞ্চের প্রায় ৪০টি দল ৭২ ঘণ্টা ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে শরিফুলকে গ্রেপ্তার করেছিল। তবে, ‘মিড ডে’-র এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর, ভুল ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিনা, এই প্রশ্ন উঠে যায়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সইফ আলি খানের ভবন থেকে বেরিয়ে আসার সময় সন্দেহভাজনের যে ছবি ধরা পড়েছিল সিসিটিভি ক্যামেরায় সেই ফুটেজটি অত্যন্ত ঝাপসা। পুলিশ বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করেও তার মান উন্নত করতে পারেননি। তবে, সন্দেহভাজনের মুখের একটি ছবি তৈরি করেছে পশ্চিম রেলওয়ে। ফেস রেকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেই ছবির সঙ্গে ধৃত ব্যক্তির মুখের মিলও পাওয়া যায়নি বলে দাবি করা হয়েছিল প্রতিবেদনে। এই বিষয়ে ডিসিপি গেদাম বলেছেন, ‘আমাদের কাছে ফেসিয়াল রেকগনিশনের বিকল্প আছে। এটাও তদন্তের একটা অংশ।’
আগেই অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি ওঠে, সিফের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে যে ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছিল, এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে যাকে, তারা এক ব্যক্তি নয়।
বাংলাদেশের ঝালকাঠি থেকে শরিফুলের বাবা, মহম্মদ রুহুল আমিনও সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর কাছে দাবি করেছেন, তাঁর ছেলে নির্দোষ। মুম্বই পুলিশ ভুল করে তাঁর ছেলেকে ধরেছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে ছেলের মুক্তির দাবিও জানিয়েছেন তিনি। এই বিষয়ে ডিসিপি দীক্ষিত গেদাম বলেছেন, ‘অভিযুক্তের বাবা কী বলছেন, সেই বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারব না। তবে আমি এতটুকুই বলব যে, তার বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে বলেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:– কার্তিক মহারাজকে কেন পদ্ম সম্মান? জানতে বিস্তারিত পড়ুন
আরও পড়ুন:– দশ বছরের চুক্তির ভিত্তিতে সরকারি বাসে চালক-কন্ডাক্টর পদে নিয়োগ, সিদ্ধান্ত ক্যাবিনেটে