Bangla News Dunia, Pallab : সামনেই আসতে চলেছে একাধিক ছুটি। আর সেই ছুটিগুলিকে কাজে লাগিয়ে একের পর এল ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানিং শুরু হয়ে যায় অনেক আগে থেকেই। আর সেই পরিকল্পনায় সিকিমের নাম থাকবেই থাকবে। অনেকেই গরমের ছুটিতে সিকিম ঘোরার পরিকল্পনা করে থাকেন। তাই সেই পরিকল্পনায় এবার আরও নতুনত্ব আনতে বিমান পরিষেবা আলাদা মাত্রা যোগ হতে চলেছে।
আরও পড়ুন:– ডিভোর্স তো শুনেছেন, গ্রে ডিভোর্স শুনেছেন কি, এই ডিভোর্স এখন বাড়ছে
বিমান পরিষেবায় আসতে চলেছে নয়া চমক
জানা গিয়েছে চলতি বছর দোলের পরেই কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সিকিমের পাকিয়াং বিমানবন্দরের ফের চলাচল করবে বাণিজ্যিক বিমান। পাশাপাশি পাকিয়াং থেকে বিমান যাতায়াত করবে অসমের গুয়াহাটি বিমানবন্দরেও। ফলে কলকাতা ও গুয়াহাটির সঙ্গে সিকিমের পাকিয়াং বিমানবন্দরের যোগও শুরু হয়ে যাচ্ছে ফের একবার। সূত্রের খবর, আগামী ১৪ মার্চ দোল উৎসব। সেক্ষেত্রে ২৯ ও ৩০ মার্চ এই পরিষেবা চালু হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই সিকিম সরকারকেও গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছে। এবং তৈরি করা হয়েছে সময়সূচি।
বিমানের সময়সূচি
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, AAI অথবা এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া তৈরি করেছে বিমানের সূচি। আর সেই সূচি মারফৎ জানা গিয়েছে সিকিমের পাকিয়াংএ সকাল ১১ টা নাগাদ বিমানটি কলকাতা থেকে ছাড়া হবে। এবং বেলা ১২ টা নাগাদ পাকিয়াং থেকে সেই বিমানই যাবে গুয়াহাটি। দুপুর ২.৩০ মিনিট নাগাদ গুয়াহাটি থেকে বিমান আসবে সিকিমে পাকিয়াং এ, তারপর পাকিয়াং বিমানবন্দর থেকে বেলা ৩ টে নাগাদ বিমান রওনা হবে কলকাতার উদ্দেশে। সেক্ষেত্রে পরে এই সময় সূচি পরিবর্তন হলেও হতে পারে।
নানা কারণে বিগত ১০ মাস ধরে সিকিমের পাকিয়াং বিমানবন্দর থেকে কলকাতার বিমান যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। অবশেষে এই ব্যবস্থা পুনরায় চালু হওয়ায় খুশিতে ডগমগ সকলেই। এই বিষয়ে পাকিয়ং বিমানবন্দরের অধিকর্তা সঞ্জীব কুমার সিং বলেন, ‘আপাতত পাকিয়াং বিমানবন্দর থেকে চালু হচ্ছে কলকাতা, গুয়াহাটির বিমান। সূচি ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। এবং বুকিং পর্ব ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এই আবহে হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরুর সঙ্গে সিকিমের পাকিয়াং থেকে বিমান চালুর বিষয়েও কথা হচ্ছে, বলে জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে পাকিয়াং বিমানবন্দরটি উদ্বোধন হয়। সেখানে সামরিক ক্ষেত্র ছাড়াও বাণিজ্যিক বিমান চলাচলেরও ঘোষণা করা হয়। পরের বছরের অক্টোবর থেকে বিমান চালু হলেও, দৃশ্যমানতা সহ নানা কারণে পরিষেবা স্তব্ধ হয়। এবার চলতি বছরে মার্চে এই বিমানবন্দর থেকে বিমান পরিষেবা চালু হতে চলেছে, যা অর্থনৈতিক দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।