Bangla News Dunia, Pallab : আগামী ৩ মার্চ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (Higher Secondary Exam) শুরু হচ্ছে। হাতে বাকি আর মাত্র এক মাস। ইতিমধ্যেই সংসদ এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পরীক্ষার্থীদের আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পর থেকে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। তাই সেক্ষেত্রে ইতিমধ্যে জেলায় জেলায় চলছে পরীক্ষা প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক। কীভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোখা যাবে তা নিয়ে চলছে নানা রকম আলোচনা। আর এই আবহে পরীক্ষাকেন্দ্রে কড়া নিরাপত্তার খাতিরে আরও এক নয়া ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
আরও পড়ুন:– ডিভোর্স তো শুনেছেন, গ্রে ডিভোর্স শুনেছেন কি, এই ডিভোর্স এখন বাড়ছে
পরীক্ষা কেন্দ্রে বসতে চলেছে মেটাল ডিটেক্টর
জানা গিয়েছে পরীক্ষা কেন্দ্রে টুকলি এবং অন্যান্য অপ্রীতিকর ঘটনাসহ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস এড়াতে নয়া পদক্ষেপ নিল সংসদ। রাজ্য জুড়ে এবার প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে থাকবে মেটাল ডিটেক্টর, এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। আসলে প্রতিবছর পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফোন উদ্ধারের নানা ঘটনা ঘটে থাকে। এবার সেই বিষয়টি যাতে পরীক্ষা কেন্দ্রের পরিবেশকে নষ্ট করতে না পারে তার জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রে বসতে চলেছে মেটাল ডিটেক্টর। তবে এই মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষাকর্মীরা তল্লাশি করবেন নাকি অন্য কোন এজেন্সি দিয়ে করানো হবে তা এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে আসার নিয়মেও বড় বদল
এছাড়াও উচ্চ মাধ্যমিকে প্রতিটি বিষয়ের প্রশ্ন ফাঁস রুখতে পরীক্ষা পরিচালনায় এক গুচ্ছ বদল আনতে চলেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। অর্থাৎ কীভাবে সেই প্রশ্নপত্র বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে এসে পৌঁছবে তা নিয়ে চলছে জোর কদমে প্রস্তুতি। আগে প্রশ্নপত্রগুলি পরীক্ষা কেন্দ্রের এলাকাগুলিতে নিয়ে আসা হত। এবং সেখানেই কোন স্কুলে প্রশ্ন যাবে তা নির্ধারণ করা হত। থানার অন্দরেই চলত সেই সমস্ত কাজকর্ম। কিন্তু চলতি বছর থেকে বদলে যেতে চলেছে সেই নিয়ম।
জানা গিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্রগুলো আরও কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আনার জন্য ছাপাখানা থেকেই বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠানো হবে। সেক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করবে না স্থানীয় থানার কোনো পুলিশ। আসলে মুখবন্ধ খামে প্রশ্ন প্রতিটি স্কুলে পৌঁছনোর পরে সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেই খাম খুলে প্রশ্ন বের করেন। আর এই সময়ই প্রশ্নফাঁসের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। তাই এই রীতিতে বদল আনতে চায় তারা। এছাড়াও পরীক্ষা কেন্দ্রে যাতে প্রশ্নপত্র সংক্রান্ত কোনো অবাঞ্ছিত অভিযোগ না ওঠে সেই কারণে এই সিদ্ধান্ত বলে অভিযোগ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের।