মরা মায়ের দেহ আগলে ৭ দিন ! রভলিকা-অশ্বিতা কেন করলেন এরকম ?

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

Bangla News Dunia, দীনেশ :- রভলিকা এবং অশ্বিতা দুই বোন, তেলেঙ্গানার সেকেন্দ্রাবাদে থাকেন। এই তথ্য নিয়ে ভাববার মতো তেমন কোনও বিষয় নেই, ভাববার মতো বিষয় রয়েছে সম্প্রতি এই বোনেদের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনায়। একই বাড়িতে একটি মৃতদেহের সঙ্গে সাত দিন কাটিয়েছেন এই দুই বোন। মৃতদেহটি তাঁদের নিজের মায়ের! ওই বাড়ি থেকে পচা গন্ধ বেরোতেই প্রতিবেশীরা খবর দেন পুলিশে। পুলিশ এসে পচাগলা দেহটি উদ্ধার করে, তারাই দেহটি সৎকারেরও ব্যবস্থা করে। ওই দুই বোন জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে মায়ের দেহ সৎকার করার টাকাটুকুও ছিল না। সাহায্যে কোনও আত্মীয় পরিজনেরাও এগিয়ে আসেননি। তাই মায়ের মৃতদেহটি বাড়ির এক ঘরে রেখে অন্য ঘরে থাকছিলেন তাঁরা।

আরও পড়ুন:– কুম্ভের মতো দুর্ঘটনা বাংলায় হলে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলত বিজেপি, কটাক্ষ অভিষেকের

পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত মহিলার নাম সি ললিতা। বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। প্রায় ৭ দিন আগে তাঁর মৃত্যু হয়। কিন্তু অর্থের অভাবে দেহটি সৎকার না করে সেটির সঙ্গেই এক বাড়িতে থাকছিলেন ওই দুই বোন। জানা গিয়েছে, বড় মেয়ে বছর ২৫-এর রভলিকা একটি শাড়ির দোকানে কাজ করেন। তাঁর ছোট বোনও একটি ছোটখাটো কাজ করেন। কিন্তু ঘটনাটির সময় তাঁদের হাতে একদম টাকা ছিল না। আত্মীয়দের থেকে সাহায্য চেয়েও কোনও লাভ হয়নি। তাই কোনও উপায়ন্তর না দেখে মায়ের মৃতদেহের সঙ্গেই একবাড়িতে ৭ দিন কাটাতে হল ওই দুই বোনকে। দুই কামরার বাড়িটিতে একঘরে মায়ের মৃতদেহ রেখে অন্য ঘরটিতে থাকছিলেন ওই দুজন, মৃতদেহটিতে পচন ধরছিল।

আরও পড়ুন:– নিষিদ্ধ ঘোষণা ! রাজ্যে 17টা ওষুধ উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দিল স্বাস্থ্যভবন, দেখে নিন তালিকা

এরপর শুক্রবার এলাকায় তীব্র পচা গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। সেখান থেকে দেহটিকে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয় সৎকারের জন্য। ঘটনাটির তদন্ত করছে পুলিশ। তবে সাহায্যের জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ কেন হননি ওই দুই বোন, সেকথাও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।

আরও পড়ুন:– কলকাতা সিটি সিভিল কোর্টে প্রচুর কর্মী নিয়োগ চলছে! কিভাবে আবেদন করবেন দেখুন

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন