Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বেড়েই চলেছে। অথচ, শরীরের ভালো-মন্দের সিংহভাগই নির্ভর করে আপনার লিভার কতটা সুস্থ আছে তার উপর। সুতরাং, লিভারের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন না হলে সমস্যা বাড়তেই থাকবে। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বেড়ে সিরোসিস অফ লিভারের মতো কঠিন রোগও হতে পারে।
লিভারকে ভালো রাখতে হলে খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি সচেতন হতে হবে। যত বেশি ফ্যাট যুক্ত খাবার খাবেন, লিভারের সমস্যা বাড়বেই। তবে লিভারের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে কিছু পানীয়। নিয়মিত সেই সব পানীয়তে চুমুক দিলে লিভারের বারোটা বাজতে বাধ্য।
অ্যালকোহল
মদ্যপানে লিভারের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি। মদ্যপানের জেরে অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার থেকে শুরু করে অ্যালকোহলিক হেপাটাইটিস, সিরোসিসের মতো ক্রনিক রোগ বাসা বাঁধে। অত্যধিক পরিমাণে মদ্যপানের ফলে লিভারের মারাত্মক প্রদাহ তৈরি হয় এবং নানা সমস্যা দেখা দেয়। এমনকী মাঝেমধ্যে মদ্যপান করলেও নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার হতে পারে।
চিনি মেশানো পানীয়
প্যাকেটবন্দি ফলের রস, ‘হেলদি’ জুসের মতো পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে চিনি মেশানো থাকে। আর চিনি কখনওই স্বাস্থ্যের জন্য উপযুক্ত নয়। চিনি বিপাক হয়ে ফ্যাটে পরিণত হয়, যা ফ্যাটে জমা হয়। এই ধরনের পানীয় স্বাস্থ্যকর ভেবে খাচ্ছেন, কিন্তু এগুলোই স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে সবচেয়ে বেশি। একই ভাবে ক্ষতিকর এনার্জি ড্রিঙ্কসও।
সোডা
কোল্ড ড্রিংঙ্কস যেন রোজের সঙ্গী। কমবয়সিদের মধ্যে এই পানীয় খাওয়ার চল বা প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। কিন্তু এই ধরনের সোডা যুক্ত সফট ড্রিংক্স লিভারের জন্য ক্ষতিকর। নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের পিছনে অনেকাংশে দায়ী কোল্ড ড্রিংক্স। এতে যেমন চিনি দেওয়া থাকে, তেমনই নানা কৃত্রিম উপাদান মেশানো থাকে। এগুলো ফ্যাট হিসেবে লিভারে গিয়ে জমা হয় এবং নানা সমস্যা তৈরি করে।
আরও পড়ুন:– কী ভাবে ব্যবহার করবেন ভারতীয় রেলের ‘বুক নাউ পে লেটার’ সুবিধা? জানুন এক ক্লিকেই
আরও পড়ুন:– ‘গুলির আঘাতে ব্যান্ডেড’, কেন্দ্রীয় বাজেটকে কটাক্ষ বিরোধী দলনেতা রাহুলের