Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহের পাত্র সাংসদ দেব। তাঁর সাংসদ এলাকার জন্যেই এ বার বড় উদ্যোগ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে উন্নত পরিকাঠামোর জন্য ২৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করলেন তিনি। চিঠি লিখে সাংসদকে সেই কথা জানালেন মমতা। চিঠি প্রকাশ্যে আসার পরেই মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ঘাটাল তথা পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতৃত্ব।
চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘জানলে খুশি হবে, আমাদের সরকার কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালকে ৩০ বেড থেকে ৫০ বেডে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই কাজে আমাদের ব্যয় হবে ২৪ কোটি টাকা। মানুষকে আরও উন্নতমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতেই আমরা এই পদক্ষেপ করলাম। সরকারের এই সদর্থক ভূমিকার কথা তুমি যথাযথ ভাবে এলাকার মানুষের নজরে আনবে, আশা রাখি।’
উল্লেখ্য, বেড সংখ্যা বাড়ানো থেকে কেশপুর হাসপাতালের হাল ফেরানোর দাবি উঠছিল গত কয়েক বছর ধরেই। এ নিয়ে সাংসদ দেব (দীপক অধিকারী) এবং বিধায়ক শিউলি সাহাও একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কারণ, ওই এলাকায় দিন দিন রোগীর চাপ বাড়ছিল বলে দাবি জনপ্রতিনিধিদের। ২০১৬ সালের পর থেকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালের উন্নয়নের নির্দেশ দেন। আগের তুলনায় পরিষেবাগত উন্নতি হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী বলেন, ‘সম্পূর্ণ নতুন একটি ভবন তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যেখানে নতুন ইমারজেন্সি ওটি কমপ্লেক্স, লেবার রুম-সহ ৫০টি বেড রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে এখন শুধু নর্ম্যাল ডেলিভারি হয়। নতুন ভবন তৈরি হলে যাতে সিজ়ারের ব্যবস্থাও হয়, আমরা সেই প্রস্তাব দেব।’
সিএমওএইচ জানিয়েছেন, কেশপুর হাসপাতালে আউটডোর এবং ইন্ডোর দুই পরিষেবার উপর চাপ বাড়ছিল। সে ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণাতে এলাকাবাসীরা যে ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন তা বলাই বাহুল্য। PWD-র তরফে খুব শীঘ্রই নতুন ভবনের টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করা হতে পারে বলে প্রশাসনের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে।