কিষান ক্রেডিট কার্ডে লোনের পরিমাণ অনেকটাই বৃদ্ধি পেল, বিস্তারিত দেখে নিন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

MODI

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- কৃষি প্রধান দেশ। এই দেশের অর্থনীতি অনেকটাই কৃষি নির্ভর। এদেশের কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের সুবিধার জন্য চালু করেছে কিষান ক্রেডিট কার্ড (Kisan Credit Card). সরকার চায় ভারতীয় অর্থনীতির বিকাশ। আর সেই বিকাশের লক্ষ্যে বাজেট ২০২৫ (Budget 2025)-এ কিষান ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা বৃদ্ধি পেল। এবার চার সেক্টরকে লক্ষ্য বানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। যেখানে অর্থমন্ত্রী সবার প্রথমে রেখেছেন কৃষিক্ষেত্রকে। দেশের কৃষি ব্যবস্থার উন্নতির জন্য, কৃষকদের উন্নতির জন্য একাধিক ঘোষণা করেছেন তিনি। আর এই সব পদক্ষেপের জেরে এবার উপকৃত হতে চলেছেন দেশের কয়েক কোটি কৃষক।

কিষান ক্রেডিট কার্ডে উপকৃত হবেন কৃষকেরা

দেশের কৃষিক্ষেত্রের উন্নতির জন্য বিশেষ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ২০২৫ সালের বাজেটে সর্বসমক্ষে ঘোষণা করলেন ‘প্রধানমন্ত্রী ধন ধান্য কৃষি যোজনা’-র। এই স্কিমের মাধ্যমে জেলাভিত্তিক কৃষির উন্নতির দিকে নজর দেওয়া হবে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এমন অনেক জেলা রয়েছে, যেখানে কিনা ফসলের ফলন তুলনায় অনেক কম। আর সেই সব জেলার উপর বিশেষ নজর দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্প শুরু হবে এরকম ১০০ টি জেলা নিয়ে। কেন্দ্র এই স্কিম চালু করবে রাজ্য গুলির সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমেই। আর এর মাধ্যমে সারা দেশের মোট ১ কোটি ৭৫ লক্ষ কৃষক উপকৃত হবেন।

আরও পড়ুন:– টাকা দিয়ে কি সুখ কেনা যায় ? কি বলছে সাম্প্রতিকতম গবেষণা ?

 

 

কিষান ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে স্বল্পমেয়াদী লোনের সুবিধা পান কৃষক, ফিশারম্যান এবং ডেয়ারি ফার্মাররা। আর এবার কেসিসি-র মাধ্যমে সেই লোনের পরিমাণ ৩ লক্ষ টাকা থেকে একলাফে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করা হল।এই পদক্ষেপের মাধ্যমে উপকৃত হবেন ৭ কোটি ৭০ লক্ষ কৃষক।

কৃষকরা আর কী কী সুবিধা পাবেন?

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী কৃষির বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনে আত্মনির্ভর হওয়ার ডাক দিয়েছেন। আজকের বাজেটে উঠে এসেছে পঞ্চায়েত ও ব্লক স্তরে ফসল মজুতের জন্য গুদাম গড়ে তোলার কথাও। মূলত ডালজাতীয় শস্যে আত্মনির্ভরতার জন্য তিনি ৬ বছরের বিশেষ মিশনের ঘোষণা করেছেন। এর পাশাপাশি, দেশে ভোজ্য তেলের উৎপাদন বৃদ্ধি করতেও জোর দিয়েছেন তিনি। এ জন্য তৈলবীজ চাষে তিনি বিশেষ নজর দিতে বলেছেন। অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, NAFED এবং NCCF-এর মত কেন্দ্রীয় সংস্থা ডালজাতীয় শস্য আগামী চার বছর কৃষকদের থেকে কিনবে।

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেটে কৃষি পরিকাঠামোর উন্নতির মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার কথাও বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘গ্রামীণ এলাকার সমৃদ্ধি এবং নির্ভরতার প্রকল্পগুলি গড়ে তোলা হবে রাজ্যগুলির সঙ্গে অংশীদারীত্বে। যেখানে বলা হচ্ছে, নতুন বিনিয়োগ, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং স্কিল বাড়ানোর মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে কর্মসংস্থানও বৃদ্ধি করা হবে। পাশাপাশি, উচ্চমানের বীজ সংরক্ষণ ও তার ব্যবহারের বিষয়েও অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন যে পরিকল্পনা করা হবে। তিনি মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি করার কথাও বলেছেন। দেশে তুলার উৎপাদন বাড়াতে আগামী পাঁচ বছর ধরে বিশেষ মিশনের ঘোষণা করেছেন তিনি। আর আন্দামান নিকোবর এবং লাক্ষাদ্বীপে মৎস্য চাষে গড়ে তোলা হবে বিশেষ পরিকাঠামো।

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন