Bangla News Dunia, Pallab : যত সময় এগোচ্ছে তাতেই রেশন ব্যবস্থায় (Rationing) একের পর এক পরিবর্তন হচ্ছে। দেশ তথা বিভিন্ন রাজ্যে একের পর এক পরিবর্তন ঘটানো হচ্ছে রেশন ব্যবস্থায়। শুধুমাত্র তাই নয় রেশন ব্যবস্থায় যাতে স্বচ্ছতা আনা যায় সেজন্য বায়োমেট্রিক থেকে শুরু করে আইরিশ স্ক্যানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিকে একের পর এক নিয়ম আনার জেরে বাংলার সরকারের নানা রকম সুবিধা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। জানলে অবাক হবেন, ডিজিটাল রেশন কার্ডের মাধ্যমে এখনও অবধি বাংলার সরকারের কয়েক কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন।
আরো পড়ুন : জানুন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যাওয়া প্রথম ভারতীয়র সম্পর্কে !
রেশন ব্যবস্থায় বিরাট লাভ সরকারের
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি রয়েছে রাজ্য বাজেট। আর এই বাজেট পেশের সময়ে রাজ্যকে খরচের সবরকম খতিয়ান তুলে ধরতে হবে স্বাভাবিকভাবেই। শুধু তাই নয়, ২০২৫-২৬ আর্থিক বছরের জন্য বাজেটে বাড়তি খরচের সংস্থানও করতে হবে রাজ্যকে। একের পর এক জিনিসের জন্য রাজ্য সরকারকে কয়েক কোটি টাকা জোগাড় করে রাখতে হবে। তবে এত বিপুল পরিমাণে টাকা জমানোর ক্ষেত্রে ডিজিটাল রেশন ব্যবস্থা সরকারকে কার্যত ‘বড়লোক’ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন :- কানে ব্যথার সমস্যায় ভুগছেন ? দ্রুত মুক্তি দেবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন কীভাবে? কিছু সময় আগেই গোটা দেশে এখন ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’ ব্যবস্থা চালু হয়। যদিও এই ব্যবস্থার ঘোর বিরোধিতা করেছিল মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার। যাইহোক, নানা টালবাহানার পর অবশেষে রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার সংযোগের কাজ শুরু করে নবান্ন। প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, এই কাজ শুরুর আগে রাজ্যে ডিজিটাল রেশন কার্ডের সংখ্যা ছিল প্রায় ১০ কোটি ৭০ লক্ষ।
রেশন ব্যবস্থায় পোয়া বারো সরকারের
এক হিসেব অনুযায়ী, আধার সংযোগের পরে এখন রাজ্যে ডিজিটাল রেশন কার্ডের সংখ্যা প্রায় ১.৯৮ কোটি কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮ কোটি ৭১ লক্ষ ৫৮ হাজারে। ফলে সমান্তরালে কমেছে বাদ যাওয়া এক একটি কার্ডপিছু খাদ্যশস্যের বরাদ্দও। তাতেই নাকি বছরে রাজ্যের সাশ্রয়ের পরিমাণ কমবেশি চার হাজার কোটি টাকা হয়েছে। শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু এটাই সত্যি।
আরও পড়ুন : মাধ্যমিক পাসে কলকাতা সিভিল কোর্টে চাকরি ! দেখুন আবেদন পদ্ধতি