Bangla News Dunia, Pallab : গত বছর আরজি কর হাসপাতালে তিলোত্তমার ধর্ষণ-খুনের মামলায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চার্জশিট ফাইল না হওয়ায় জামিন পেয়েছিলেন আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। কিন্তু, আরজি করে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় জেলে রয়েছেন। এবার সেই মামলায় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হতে চলেছে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নিম্ন আদালতকে দ্রুত শুনানির নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর সেই নির্দেশ মেনে আজ অর্থাৎ বুধবার চার্জ গঠনের শুনানি শুরু হবে।
আরও পড়ুন : লক্ষ্মীর ভান্ডারকে টেক্কা! নতুন বাজেটে মহিলাদের জন্য নতুন প্রকল্প। কী কী সুবিধে মিলবে?
গত বছরের ৮ আগস্ট গভীর রাতে আরজি করের সেমিনার হলে দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের অভিযোগ ওঠে। সেই সূত্রেই CBI তদন্ত করতে গিয়ে সামনে নিয়ে আসে হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির বিষয়। আর সেই মামলায় হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সহ বিপ্লব সিং, আফসার আলি, সুমন হাজরা, আশিস পাণ্ডের নাম উঠতেই গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI। তবে এই মামলায় ট্রায়ালে দেরি হওয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। শেষে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নিম্ন আদালতকে দ্রুত শুনানির নির্দেশ দিয়েছিলেন।
নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন সন্দীপ ঘোষ
এদিকে আজ চার্জ গঠন প্রক্রিয়া আটকাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সন্দীপ ঘোষ। সেই কারণে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এর বেঞ্চে নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তা সম্পূর্ণ খারিজ হয়ে যায়। মামলাকারী সন্দীপ ঘোষের আইনজীবীর বক্তব্য, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী, ডিসচার্জ পিটিশনের জন্য সাত দিন সময় নিতে হয়। কিন্তু তাঁদের প্রায় কুড়ি হাজার পাতার চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়া হলেও তা পড়ার সময় দেওয়া হয়নি। কিন্তু এদিকে কীভাবে একক বেঞ্চ এক সপ্তাহের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করবে বলে জানিয়ে দেয়। যা নিয়ে রীতিমত উঠছে প্রশ্ন।
প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে দ্বারস্থ সন্দীপ
তবে এই বিষয়ে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সন্দীপ ঘোষের আইনজীবীকে সাফ জানিয়ে দেয় যে, কিছু বলার থাকলে সেটি যেন নিম্ন আদালতে গিয়ে বলা হোকয । অহেতুক কারণ নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা মোটেই ঠিক নয়। তাই আগের নির্দেশ পরিবর্তন করা হবে না। আর সেই কারণে তাই ওই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের দারস্থ হয়েছেন আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।
প্রসঙ্গত, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রথমে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ আনেন আরজি করের নন মেডিক্যাল প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। প্রকাশ্যে আসে একের পর এক ভয়ঙ্কর দুর্নীতির অভিযোগ। চিকিৎসার সরঞ্জাম থেকে শুরু করে টেন্ডার দুর্নীতি, এমনকি ডেড বডি নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। যার ফলে সন্দীপের সঙ্গে গ্রেফতার হন সুমন হাজরা, আফসার আলি, বিপ্লব সিংহরাও।