বিলুপ্তির পথে ঋতুরাজ বসন্ত, আবহাওয়ার বদলই চিন্তা বাড়াচ্ছে বিজ্ঞানীদের !

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Bangla News Dunia, Pallab : ভরা মাঘ মাসেও নেই শীতের দেখা। শুধু মাঘ নয় পৌষ মাসেও কার্যত জাঁকিয়ে শীতের দেখা পাওয়া যায়নি। কেউ কেউ তো ইতিমধ্যেই লেপ কম্বল তুলতে শুরু করে দিয়েছেন। দরকার পড়ছে না আর টুপি, সোয়েটারের। গোটা শীতের মরশুম এবার কোনোভাবে একপ্রকার কেটেছে। তাপমাত্রা কোনো কোনো দিন নিম্নমুখী থাকে তো কোনো কোনো দিন আবার ঊর্ধ্বমুখী থাকে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপটে রীতিমত নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। আর এই জলবায়ু পরিবর্তনের এক বড় প্রভাব দেখা গেল ৬টি ঋতুর ওপর।

আরও পড়ুন:- রাজ্য সরকারের WEBCSC সংস্থায় উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক পাশে কর্মী নিয়োগ চলছে! শীঘ্রই আবেদন করুন

বসন্ত ঋতু ক্রমেই বিলুপ্ত হচ্ছে !

গত পাঁচ দশকের তথ্য সূত্রে দেখা গিয়েছে যে, যত সময় এগোচ্ছে ততই ভারতে শীতের প্রভাব কমছে। যার ফলে গরমের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি ঋতুর ওপর এক বিরাট প্রভাব পড়ছে। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতেও তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্লাইমেট সেন্ট্রালের গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী দেখা গিয়েছে, প্রতি বছর শীতের মাসে অঞ্চলভেদে তাপমাত্রার ব্যাপক তারতম্য হচ্ছে। এমন উদাহরণও আছে অনেক। উদাহরণস্বরূপ, মণিপুরে একধাক্কায় ২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে যেখানে কিনা দিল্লিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ০.২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এই আবহে আরও একটি জিনিষ নজরে এসেছে। এবং সেটি হল শীতের পরবর্তী ঋতু বসন্তের স্থায়িত্ব অনেকটাই কমে যাচ্ছে।

মোটামুটি জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাস পেরিয়ে মার্চ এপ্রিল থেকেই বসন্তের (Spring) আগমন হয়। এই সময় সকালের দিকে হালকা শীত শীত থাকে তবে বেলা গড়াতেই এক মনোরম আবহাওয়া থাকে। কিন্তু আবহাওয়াবিদদের মতে সেই বসন্তের অস্তিত্ব এখন একদমই দেখা যাচ্ছে না। যার অন্যতম কারণ হল দীর্ঘস্থায়ী শুষ্ক আবহাওয়া এবং উচ্চ তাপমাত্রা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি ছিল রেকর্ডের তৃতীয় উষ্ণতম মাস। এই সময়ের গড় তাপমাত্রা ছিল ১৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বাড়ছে গরমের প্রভাব

১৯০১ সালের পর এটি ছিল চতুর্থ শুষ্কতম মাস, যা এটিকে সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে শুষ্কতম শীতকালীন মাসগুলির মধ্যে একটি করে তুলেছে। কিন্তু বছরের পর বছর দেখা যাচ্ছে ফেব্রুয়ারিতেই তাপমাত্রা এপ্রিলের মতো অনুভূত হতে শুরু করেছে। দিনের পর দিন ঋতুর এই পরিবর্তন পরিবেশে এক ভয়ংকর বিপদ ডেকে আনছে। শুধু বসন্তই নয়, বর্ষাকালে কমছে বৃষ্টির দাপট এমনকি শীতের মরসুমেও দেখা যাচ্ছে না শীত। প্রতিটা ঋতুতেই এখন গরমের প্রভাবটাই বেশি চোখে পড়ছে। আর এই সমস্যার অন্যতম মূল কারণ হিসেবে উঠে আসছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং।

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন