Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- এর আগে পরপর ২ বার দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধীদের উড়িয়ে ক্ষমতায় এসেছিল আপ। ৭০ আসনের বিধানসভায় ৬০টিরও বেশি আসন ছিল আম আদমি পার্টির দখলে। কিন্তু এ বার আপ-কে এমন দলের কাছে হারতে হলো যারা গত তিন দশক ধরে দিল্লি বিধানসভার দখল নিতে পারেনি। শনিবার সন্ধে বিকেল পর্যন্ত ৭০ আসনের বিধানসভার মধ্যে ৪৮টি আসনই দখলে নিয়েছে বিজেপি। আপের হাতে এসেছে মাত্র ২২টি আসন। আর ঠিক তখনই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে কে হবেন দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী?
শনিবার সকালে ভোটের ফলপ্রকাশ কিছুটা এগোতেই বিজেপি যখন জয়ের স্বাদ পেতে শুরু করেছে, তখন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন জানতে চাইলে দিল্লি বিজেপির সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেব সাংবাদিকদের বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঠিক করবেন। সাধারণ বাসিন্দারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বকে বেছে নিয়েছেন। কারণ তাঁরা আরও উন্নয়ন চান।’
বিভিন্ন রাজ্যেই মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নানা সময় চমক দেখিয়েছে বিজেপি। দিল্লির ক্ষেত্রেও কি তাই হবে? ফলপ্রকাশের পরেই দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে বৈঠকে বসেছেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। উপস্থিত রয়েছেন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহও। এই পরিস্থিতিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদের দাবিদার হিসেবে সামনে এসেছে বেশ কয়েকটি নাম।
আরও পড়ুন:- হাতির পায়খানার ছবি বিক্রি করছে এক চিড়িয়াখানা, কারা, কেন কিনছেন এই ছবি ?
পরবেশ ভার্মা:
দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সাহিব সিং ভার্মার ছেলে পরবেশ ভার্মা। উত্তর দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের মেয়র ছিলেন পরবেশের কাকা আজাদ সিংহ। দিল্লির রাজনীতিতে পুরোনো মুখ পরবেশ। এই ভোটে নয়া দিল্লি আসনে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে হারিয়েছেন তিনি। দূষণ ও পরিকাঠামো সংক্রান্ত বিষয়ে আপ সরকারের পদক্ষেপের কড়া সমালোচক ছিলেন তিনি।
সতীশ উপাধ্যায়:
বিজেপির দিল্লি ইউনিটের প্রাক্তন সভাপতি সতীশ উপাধ্যায় পুরোনো বিজেপি নেতা। অন্তত ৩ দশক রাজনীতির অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁদের। মালব্যনগর আসনে জয়ী হয়েছেন তিনি। হারিয়েছেন আপের সোমনাথ ভারতীকে।
বীরেন্দ্র সচদেব:
দিল্লি বিজেপির সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেব। তিনি বিধানসভা ভোটে লড়েননি। কিন্তু দিল্লির রাজনীতিতে এবং বিজেপির অন্দরে বড় নাম বীরেন্দ্র। ফলে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বিজেপি বসাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
মনোজ তিওয়ারি:
উত্তর-পূর্ব দিল্লির বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারি। তিনি দিল্লি বিজেপির সভাপতিও ছিলেন। মনোজও দিল্লি বিধানসভায় লডে়ননি। ভোজপুরী সিনেমার তারকা মনোজ পূর্বাঞ্চলীয় ভোটারদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। সামগ্রিক ভাবে ওঁর খ্যাতি কাজে লাগাতেই মনোজ তিওয়ারিকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসানো যেতে পারে বলেও আলোচনা চলেছে।
রমেশ বিধুরী:
দিল্লির রাজনীতিতে পোড়খাওয়া বিজেপি নেতা রমেশ বিধুরীও এই দৌড়ে ছিলেন। কিন্তু কালকাজি-তে আতিশি মারলেনার কাছে হেরে গিয়েছেন তিনি।
২৭ বছর পরে বিজেপির থেকে কেউ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হবেন। এর আগে মদন লাল খুরানা, সাহিব সিং ভার্মা এবং সুষমা স্বরাজ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেছেন।
আরও পড়ুন:- অর্থনীতির বিকাশে বড় ভূমিকা বিয়ারের, কী ভাবে ভারতের জিডিপি-তে প্রভাব ফেলেছে এই শিল্প? জেনে নিন
আরও পড়ুন:- ১ বছরে ৫০ শতাংশের বেশি রিটার্ন দিতে পারে, দীর্ঘমেয়াদি লগ্নি চাইলে কিনতে পারেন এই সব স্টক