Bangla News Dunia, দীনেশ :- মেডিকেল কলেজ, না গুয়ানতানামো বে বন্দিশিবির! একটি সরকারি নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগিংয়ের ধরন দেখলে শিউরে উঠতে হয়।
নবাগত পড়ুয়াদের পোশাক খুলিয়ে চলত মারধর। যৌনাঙ্গে ডাম্বেল বেঁধে ঝুলিয়ে দেওয়া হত। এখানেই শেষ নয়, জ্যামিতি বাক্স থেকে কম্পাস নিয়ে গেঁথে দেওয়া হত শরীরে। মারধর করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হত দিনের পর দিন। এভাবেই র্যাগিংয়ের শিকার হতেন কলেজের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা। শেষমেশ থাকতে না পেরে মুখ খোলেন নির্যাতিত তিনজন। তারপরই গ্রেপ্তার করা হয় তৃতীয় বর্ষের পাঁচ পড়ুয়াকে।
আরো পড়ুন :- থাকছেন না ‘অপয়া’ আম্পায়ার ! ICC-র সিদ্ধান্তে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাড়তি সুবিধা পাবে ভারত ?
ঘটনাটি কেরলের (Kerala Ragging Horror) কোট্টায়ামের একটি সরকারি নার্সিং কলেজের। সেখানে বেশ কয়েকজন পড়ুয়াকে টানা তিন মাস নির্মম অত্যাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। গত বছরের নভেম্বর মাস থেকেই র্যাগিং শুরু হয়েছিল। প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের শরীরের নানা জায়গায় ধারালো জিনিস ফুটিয়ে দেওয়া, বেধড়ক মারধর, এমনকি ঘণ্টার পর ঘণ্টা নগ্ন করে দাঁড় করিয়ে রাখা সহ নানা ধরনের বিকৃত যৌন হেনস্তা করা হত। এরপর ক্ষতস্থানে লোশন লাগিয়ে সেই লোশন মুখে মাখিয়ে দেওয়া হত, যাতে সারা গা জ্বলে যেত। বাধা দিতে গেলে সেই লোশন পড়ুয়াদের মুখেও ঢেলে দেওয়া হত।
র্যাগিংয়ের ভিডিও রেকর্ড করে পড়ুয়াদের ব্ল্যাকমেল করত অভিযুক্তরা। তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুললে ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেওয়ার হুমকি দিত সিনিয়ার পড়ুয়ারা। তিন মাস মুখ বুজে অত্যাচার সহ্য করলেও শেষে আর থাকতে না পেরে প্রথম বর্ষের নির্যাতিত এক পড়ুয়া প্রথমে বাড়িতে সব জানান। এরপর আরও দুই নির্যাতিত পড়ুয়াকে নিয়ে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
আরো পড়ুন :- ‘দেশের শ্রমিকরা কাজ করতে চায় না’, ফের বিতর্কিত মন্তব্য L&T প্রধানের
অভিযোগ পাওয়ার পরই র্যাগিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় তৃতীয় বর্ষের পাঁচ অভিযুক্ত পড়ুয়াকে। অভিযোগ, সিনিয়ররা জুনিয়রদের থেকে টাকাও তুলত মদ কেনার জন্য। যারা টাকা দিতে অস্বীকার করত, তাদের মারধর করা হত।
গ্রেপ্তারের (Arrest) পর অভিযুক্ত পড়ুয়াদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। বুধবার তাদের আদালতে তোলা হলে প্রত্যেকের পুলিশি হেপাজত হয়।