Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- রাজস্থানের বিকানেরে জিমে পাওয়ারলিফটিংয়ের সময় জাতীয় লেভেলের খেলোয়াড় যষ্টিকা আচার্য মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়। কাল থেকেই এই ভাইরাল ভিডিও দেখে সকলেই স্তম্ভিত। পাওয়ারলিফটিং খেলোয়াড়দের দুশ্চিন্তা যেমন বাড়িয়েছে ঠিক তেমনই সাধারণ মানুষ যারা জিম করেন তাদেরও ভয় ধরিয়েছে। কোন ভুলে জিমে এমন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে? জেনে সতর্ক হোন।
যষ্টিকা আচার্যের ক্ষেত্রে, প্রাথমিক ত্রুটি ছিল তার পায়ের ভারসাম্য হারানো, যেখানে তিনি দাঁড়িয়েছিলেন সেখানে রাবারের তিনটি ম্যাট ছিল। তারপরও তাঁর উচ্চতা কম থাকায় পা উঁচু করে ভারী ওজন তুলতে গিয়েই দুর্ঘটনা ঘটে। যে কারণে ওজন তোলার সঙ্গে সঙ্গে টলমল করে পড়ে যান ওই খেলোয়াড়।
২৭০ কেজির মতো ভারী বারের ওজন তোলার জন্য চারপাশে শক্তিশালী লোক থাকা উচিত। পাওয়ারলিফটিংয়ে এটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে ওজন তুলছেন তিনি স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত ওজন তোলা উচিত নয়।
আরও পড়ুন:- মহিলাদের জন্য সেরা 5 অনলাইন কোর্স। বাড়ি বসে শিখে প্রতিমাসে হাজার হাজার টাকা রোজগার করুন
পাওয়ার লিফটিংয়ে তিনটি পজিশন আছে, ১. স্কোয়াট ২. বেঞ্চপ্রেস ও ৩. ডেডলিফ্ট। এই তিনটি ইভেন্টে সেরা হলে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই পদক আসে। যষ্টিকা স্কোয়াট করছিলেন। বার নিয়ে স্কোয়াট করার সময় প্রায়শই দু’পা পিছিয়ে যেতে হয়, এরপর স্কোয়াট করতে হয়। কিন্তু ওজন তোলার সঙ্গে সঙ্গেই যষ্টিকার ক্ষেত্রে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন ৩টে ম্যাট থাকার কারণে এবং অতি অবশ্যই তাঁর উচ্চতার থেকে উঁচু জায়গায় বার থাকার কারণে।
একজন মানুষ যখন এত ওজন বহন করার পর ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে, তখন তার জন্য নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। পা বেঁকে গেলে পুরো ভার এসে পড়ে ঘাড়ে। এই বিষয়ে প্রশিক্ষকের একটু যত্ন নেওয়া উচিত ছিল।
দুর্ঘটনায় ৫টি ভুল কী কী?
১. যষ্টিকা আচার্য যেখানে দাঁড়িয়েছিলেন তা সমতল ছিল না, ৩টে ম্যাট ছিল।
২. এরফলে ম্যাট থেকে দু’পা পিছোতেই ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। তাঁর উচ্চতার থেকে উঁচুতে বার থাকায় পা উঁচু করার কারণেও ভারসাম্য হারায়।
৩. যষ্টিকা যখন ওজন নিতে পারছিলেন না তাঁর ছেড়ে দেওয়া উচিত ছিল।
৪. তাঁর ট্রেনারকে আরও সক্রিয় হওয়া উচিত ছিল।
৫. ওয়েট বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি।
স্কোয়াট করার সময় ওজন না নিতে পারলে কোনদিকে ছাড়বেন?
আন্তর্জাতিক পাওয়ার লিফটার নিধি সিং প্যাটেল বলেছেন, পাওয়ার লিফটিংয়ে স্কোয়াট পজিশন নেওয়ার সময়, যখনই ভারসাম্যহীনতা দেখা দেবে তখন ওয়েট পিছনের দিকে ছেড়ে দেওয়া উচিত। কখনই ঘাড়ের দিকে আনা উচিত নয়। এমনকি যষ্টিকা আচার্যের ক্ষেত্রেও যদি ওজনটা পিছনে ফেলে দিতেন, তাহলে হয়তো পিছনের কোনও সাপোর্টারই তা সামলে নিতেন। খেলোয়াড়রা যদি বেশি ওজন তোলেন এমনকি সাধারণ মানুষও তবে পাশের দুই ব্যক্তি (লোডার) এবং যারা পিছনে দাঁড়িয়েছে (সমর্থক) তাদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত, তাদের শক্তিশালী হওয়া উচিত।
আরও পড়ুন:- আঙুর শুধু জলে ধুলেই হয় না, ৩ উপায়ে পরিষ্কার না করলে মারণ রোগের বাসা বাঁধবে
আরও পড়ুন:- রেখা গুপ্তা কে? কেন তাঁকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী করল BJP?