আমতায় 17 লাখের জাল ওষুধ উদ্ধার, জানুন বিস্তারিত

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

indian-medicines

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- দেখে বুঝতে পারবেন না আসল না নকল ৷ নামী ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার নামে লাগানো ভুয়ো কিউআর কোড ৷ এই ভাবেই জাল ওষুধের কারবার চলছিল হাওড়ার আমতায় ৷ সেই ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থার গোডাউনে হানা দিতেই চমকে যান রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল দফতরের আধিকারিকরা । আমতার মান্না এজেন্সি থেকে এমনই 17 লক্ষ টাকার জাল ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে ৷

জানা গিয়েছে, অত্যন্ত সুচতুর উপায়ে নামী ওষুধ কোম্পানির আসল কিউআর কোড নকল করে ওই জাল ওষুধের গায়ে লাগানো হচ্ছিল । এই প্রতারণার জাল কতদূর বিস্তৃত তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন । ঘটনার পরই ওই সংস্থার মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে । প্রশ্ন উঠেছে, এখান থেকেই কী গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছিল এই জাল ওষুধ ? কাদের মাধ্যমে এই ওষুধ সরবরাহ করা হত ? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতর । ইতিমধ্যেই গোডাউনটি সিল করে দেওয়া হয়েছে ।

এটাই প্রথম নয়, এর আগেও কলকাতায় উদ্ধার হয়েছিল প্রায় 6.5 কোটি টাকার নকল জীবনদায়ী ওষুধ । সেই সময়ও সেন্ট্রাল ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল । জানা যায়, প্রায় 44 রকমের নিম্নমানের ওষুধ গোটা দেশের বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে, যার উপাদানের মধ্যে ভেজাল রয়েছে ।

আরও পড়ুন:- প্রতিমাসে 5000 টাকা দিচ্ছে মোদি সরকার। কিভাবে অনলাইনে আবেদন করবেন, দেখে নিন বিস্তারিত

ড্রাগ কন্ট্রোল দফতর সূত্রের খবর, 2023 সালে কেন্দ্রীয় সরকার 300টি প্রয়োজনীয় ওষুধের গুণমান বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ট ওষুধ কোম্পানিগুলিকে ওইসব ওষুধের উপর কিউআর কোড লাগানোর নির্দেশ দেয় । সেই মতো ওষুধ কোম্পানিগুলি তাদের ওষুধের উপর কিউআর কোড লাগিয়ে দেয় । সূত্রের খবর, সম্প্রতি একটি নামী ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার রক্তচাপের ওষুধের কিউআর কোড জাল হয় । বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ওষুধ কোম্পানির নজরে এলে তারা তা রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলে অভিযোগ জানায় ।

এরপরই রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের আধিকারিকরা তদন্তে নেমে ওষুধ কোম্পানির অভিযোগের সত্যতা জানতে পারেন । তদন্তে আরও জানা যায়, এই জাল ওষুধ বিহার থেকে আনা হয়েছে এবং আমতার মান্না এজেন্সি নামে একটি ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এই জাল ওষুধ সরবরাহ করেছে । আর এরপরেই বৃহস্পতিবার ড্রাগ কন্ট্রোলের আধিকারিকরা আমতায় ওই এজেন্সির গোডাউনে হানা দিয়ে প্রচুর পরিমাণে জাল ওষুধ উদ্ধার করে এবং সংশ্লিষ্ট মালিককে গ্রেফতারও করা হয় । ওই এজেন্সি 1 কোটি 86 লক্ষ টাকার জাল ওষুধ বাজারে সরবরাহ করেছে বলে জানা গিয়েছে ।

প্রসঙ্গত, রাজ্যে ওষুধ নিয়ে বিতর্ক নতুন কিছু নয় । গত মাসেই ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল’-এর সরবরাহ করা ‘রিঙ্গার ল্যাকটেট’ স্যালাইন নিয়ে অভিযোগ ওঠে । পরীক্ষার পর দেখা যায়, এই সংস্থার তৈরি 16 টি নমুনাই মানদণ্ডে ফেল করেছে । কর্ণাটকের বেলারি জেলা হাসপাতালে ওই সংস্থার স্যালাইন ব্যবহারের পর পাঁচ প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে । এর পরও কীভাবে সরকারি হাসপাতালে এই স্যালাইন ব্যবহৃত হচ্ছিল, তা নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয় ।

আরও পড়ুন:- AC-র জন্য মিটারের লোড বাড়াতে কীভাবে আবেদন করবেন, কত টনে-কত টাকা? দেখে নিন এক ক্লিকে

আরও পড়ুন:- ফ্যাক্ট চেক: জুলাই-অগস্টে বাংলাদেশে কোনও সাম্প্রদায়িক হিংসা বা হত্যা হয়নি বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জ?

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন