Bangla News Dunia, Pallab : সারাবছর ধরে চাষীরা চাষবাসের মধ্যে ব্যস্ত থাকেন। কঠোর পরিশ্রম করে তারা চাষ করেন বলেই আমরা মুখের সামনে খাবার পায়। কিন্তু সম্প্রতি হঠাৎ বৃষ্টির ফলে আলু চাষে ভয়ংকর ক্ষতি হয়েছে। আলু (potato farming) তোলার আর কয়েকদিন মাত্র বাকি ছিল। কিন্তু এর মধ্যেই প্রবল বর্ষণের ফলে বিপুল ক্ষতি হয়ে গেল আলু চাষে।
আরও পড়ুন : ভারতে চালু ৪ টি সরকারি কার্ড, না করলে বিপদে পড়বেন
নতুন আলু তোলার (potato farming) আগেই অকাল বৃষ্টির ফলে জল জমে গেলো চাষের জমিতে। তার মধ্যে ডিভিসির জল ছাড়া হল। এর ফলে চাষবাসের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যার জন্য মাথায় রীতিমতো হাত পড়েছে আলু চাষীদের। অনেকে রীতিমত কপাল চাপড়াচ্ছেন, কারণ ১০০ বিঘা জমির আলু নষ্ট হতে বসেছে।
এই বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতির (potato farming) ফলে যেমন চাষীদের পরিশ্রমের ক্ষয়ক্ষতি হল, তেমনি আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হবে তারা, সে কথা বলাই বাহুল্য।
বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের উত্তর নিত্যানন্দপুর গ্রামে অকাল বর্ষনের ফলে চাষবাস এবং যাবতীয় পরিকল্পনা প্রায় মাঠে মারা গেছে।
অকাল বর্ষণের ফলে চাষের জমির ফসল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির যেটুকু বাকি ছিলো তাও ডিভিসির জল ছাড়ার ফলে ক্ষতি হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন চাষীরা (Best Crop Insurance Company In India) ।
এই ঘটনার কথা প্রশাসনের কানেও পৌঁছে গেছে এবং সেখানে ইতিমধ্যেই হাজির হয়ে গিয়েছেন ব্লকের কৃষি দপ্তর ও প্রশাসনের অফিসাররা।
আরও পড়ুন : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে গুরুর মর্যাদা দিলেন এই দেশের প্রধানমন্ত্রী, একনজরে দেখে নিন
কৃষকদের তারা চিন্তা করতে বারণ করেন ও ফসল বিমায় চাষের (Potato farming) ক্ষতিপূরণ যাতে দেওয়া হয় সেকথাও বলেন আর সুফল বাংলার মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত আলু সহায়ক মূল্যে কিনে নেওয়ার নির্দেশও দেন প্রশাসনের কর্তারা। যার ফলে সেখানকার কয়েকশো পরিবারের মুখে হাসি ফোটে।
কৃষি দপ্তর ও প্রশাসনের অফিসাররা আলু চাষে (Potato farming) কতটা ক্ষতি হয়েছে তা নিজের চোখে দেখতে চান এবং তারা দেখেন যে চাষযোগ্য জমি জলে জলময় হয়ে গেছে এবং হাঁটু জল নেমে কৃষকরা আলু তোলার চেষ্টা করছেন,
যতটা আলু বাঁচানো যায় তাতেই লাভ। তবে প্রশাসনকে এই দুর্দিনে এভাবে পাশে পেয়ে কৃষকরা খুশি হয়েছেন।
কৃষক বন্ধু ও ফসল বীমা (Bangla Shasya Bima) যোজনার বরাদ্দ রাজ্য বাজেটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃদ্ধি করেছেন যার ফলে আশার আলো দেখতে চলেছেন কৃষকরা।