সাতসকালে কুমোরটুলি ঘাটে ব্যাগভর্তি টুকরো দেহ ফেলতে এসে ধৃত মহিলা, পুলিশি জেরায় কি জানা গেলো ?

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- কুমোরটুলিতে ট্রলি করে দেহ ফেলতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন মা-মেয়ে। স্থানীয়রা তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেন। এক বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম ফাল্গুনী ঘোষ ও আরতি ঘোষ। ট্রলি ব্যাগে যাঁর দেহ ছিল, তাঁর নাম সুমিতা ঘোষ। তবে এই সুমিতা ঘোষ তাদের কে হন, তা জানা যায়নি।

সকাল সাতটা। কুমোরটুলি ঘাটে ধোপদুরস্ত পোশাকের যুবতী ও তাঁর মা ট্যাক্সি করে এলেন । দু’জনের মুখেই মাস্ক। সঙ্গে বড় ট্রলি ব্যাগ। সেই ব্যাগ এতটাই ভারী যে দু’জনে মিলে টেনে-হিঁচড়েও নিয়ে যেতে পারছিল না। বিষয়টি দেখেই সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। ভিতরে কী আছে জানতে চাইলে বললেন কুকুরের দেহ। কিন্তু কুকুরের দেহ এত ভারী হবে? খটকা লাগে সকলের। তবুও চুপচাপ নজর রাখতে থাকেন। মা-মেয়ে কুমোরটুলি ঘাটের দিকে এগিয়ে গেল। তারপর ট্রলি খুলে কিছু একটা ফেলতে গেল গঙ্গায়। তখনই হাতেনাতে ধরে ফেললেন স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন:- সেরা 5 টি সার্টিফায়েড Google Course। বাড়ি বসে কাজ শিখে মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করুন

মঙ্গলবার সকালে হাড়হিম করা ঘটনা খাস কলকাতায়(Kolkata Crime)। ব্যাগবন্দি করে দেহ লোপাটের চেষ্টা করা হচ্ছিল বলে দাবি স্থানীয়দের। সঙ্গে সঙ্গে দুই মহিলাকে ঘিরে হই-হট্টগোল শুরু হয়। পুলিশে খবর দেন তাঁরা।

কিন্তু যতক্ষণ পুলিশ আসছে, ততক্ষণ সবাই মিলে দুই মহিলাকে বারবার প্রশ্ন করতে থাকেন। ব্যাগ খুলে দেখা যায় তাতে কাপড় জড়ানো পচাগলা দেহ। প্রথমে দুই মহিলা এটি কুকুরের দেহ বলে জানান। স্থানীয়দের দাবি, পরে চাপের মুখে তারা এটি ‘পিসি-শাশুড়ি’র দেহ বলে। পরে আবার বয়ান পাল্টে বলেন, ‘ননদ’। পুরো বিষয়টি ঘিরে তীব্র উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়। জনতা কার্যত মারমুখী হয়ে ওঠে।

ইতিমধ্যে পুলিশ এসে পৌঁছায়(Kolkata Police News)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অসংলগ্ন কথা বলতে দেখা যায় দুই মহিলাকে। এরপর তাদের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। ট্রলি ব্যাগও সেখানেই তোলা হয়। এদিকে প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন উত্তেজিত জনতা।

কুকুরের দেহ বলা হল কেন?
স্থানীয়রা বলছেন, প্রথমে এটি কুকুরের দেহ বলে দাবি করা হয়। পরে কখনও এটি পিসি-শাশুড়ি, কখনও আবার ননদের দেহও বলে দুই মহিলা।

বিভিন্ন স্থান ঘুরে কুমোরটুলি ঘাটে
স্থানীয়দের দাবি, তাঁদের চাপের মুখে নানা কথা বলতে থাকে দুই মহিলা। জানা যায়, প্রথমে প্রিন্সেপ ঘাটে গিয়েছিল দু’জনে। এরপর আবার গাড়ি নিয়ে এখানে চলে আসে। মহিলারা এমনই বলেছে বলে দাবি স্থানীয়ের। দু’জনের কাছ থেকে কাজিপাড়ার ট্রেনের টিকিট মিলেছে। শিয়ালদা হাসনাবাদ রুটের স্টেশন এটি। সম্ভবত সেখান থেকেই এসেছিল তাঁরা। তবে ধৃতদের বাড়ি কোথায়, তা এখনও জানা যায়নি।

আরও পড়ুন:- মাত্র 5000 টাকায় শুরু করুন এই ব্যবসা। কম বিনিয়োগে বেশি লাভ, জেনে নিন বিস্তারিত

আরও পড়ুন:- সিনিয়র থেকে জুনিয়র, সব ডাক্তারের অনেক টাকা মাইনে বাড়ছে, বড় ঘোষণা মমতার

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন