ট্যাংরাকাণ্ডে নতুন মোড়, পুলিশের কাছে কি স্বীকারোক্তি প্রসূন দে’র, জানুন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- কলকাতা ট্রিপল মার্ডার কেসে প্রসূন দে-এর বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি তদন্তকারীদের কাছে। লালবাজার সূত্রের খবর, নিজের স্ত্রী এবং বৌদিকে খুন করেছেন তিনি নিজেই। অবশেষে তা তদন্তকারীদের কাছে স্বীকার করেছেন প্রসূন দে। ট্যাংরাকাণ্ডে এমনটাই দাবি লালবাজারের। লালবাজারের তদন্তকারীদের দাবি, ঘটনায় প্রথমে প্রসূন দাবি করেছিলেন, সুদেষ্ণা দে এবং রোমি দে নিজেরাই নিজেদের হাত কেটেছিলেন। তবে এখন জেরায় তিনি তাঁর বয়ান পরিবর্তন করেছেন।

আগে স্ত্রী রোমির হাতের শিরা ও গলায় কাটা হয় এবং পরে বৌদি সুদেষ্ণার হাতের শিরা কাটেন প্রসূন, এমনটাই সূত্রের খবর। রোমি প্রথমে নিজে বাঁ হাতে কাটার চেষ্টা করে ব‍্যর্থ হয়, তারপর প্রসূন কেটে দেয়। কাটার সময় রোমি ও সুদেষ্ণার মুখে বালিশ চাপা দেওয়া হয় যাতে আওয়াজ না বেরোতে পারে। রোমির ডান দিকের তলপেটে, দুই ঠোঁটে, ডানদিকের কাঁধে কালশিটে দাগ পাওয়া গেছে। যাতে মনে হচ্ছে প্রতিরোধ করেছে।

আরও পড়ুন:- IDBI ব্যাংকে প্রচুর কর্মী নিয়োগ চলছে! আবেদন পদ্ধতি সহ বিস্তারিত দেখে নিন

পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় প্রসূন দে বাড়ির দুই বধূর হাত কাটার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। লালবাজারের হোমিসাইডের গোয়েন্দাদের প্রথম থেকেই নজরে ছিলেন দে বাড়ির এই দুই ভাই। এই দুই ভাইয়ের পরস্পরের বক্তব্যে বিস্তর অসংগতি ছিল বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে যখন তারা চিকিৎসাধীন ছিলেন, সেই সময় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরবর্তীকালে এনআরএস হাসপাতালেও প্রসূন এবং প্রণয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

দু’জন বউ আত্মহত্যার চেষ্টা করে না পারায় প্রসূন হাত কেটে দেন বলে পুলিশের কাছে জানিয়েছেন। হাত ও গলা কেটে আওয়াজ কমের জন্য বালিশ দিয়ে মুখও চাপা দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। প্রণয় স্বীকার করেছেন, পুলিশের কাছে পায়েসে ঘুমের ঔষুধ মিশিয়েছে। রোমির প্রতিরোধের চিহ্ন মিলেছে শরীরের ডান দিকে কাঁধ, ডান পেটে ও ঠোঁটের উপর ও নীচে। তিনজনের ভিসেরা রিপোর্ট পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে কলকাতা পুলিশ। মানসিকভাবে সুস্থ করতে কলকাতা পুলিশের দেওয়া দাবা বোর্ডে দাবা খেলছে নাবালক।

এর আগে দে পরিবারের নাবালক শিশু সুরক্ষা কমিশনের সামনে বিষয়টি জানিয়েছিল ৷ কীভাবে তার কাকা হত্যাকাণ্ড এই ঘটিয়েছিল, তার বর্ননা দেয় ওই কিশোর। ওই কিশোর শিশু সুরক্ষা কমিশনে জানায়, পরিবারের তিন সদস্যকে খুন করেছেন তার কাকা প্রসূনই। প্রসঙ্গত, গত ১৯  ফেব্রুয়ারি ট্যাংরা থানা এলাকার অটল শূর রোডের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তিনটি মৃতদেহ। ওই বাড়ির বধু সুদেষ্ণা দে এবং রোমি দে ও এক কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়। সেই দিনই ভোর রাতে বাইপাসের ধারে গড়ফা থানা এলাকায় একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সেই গাড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় প্রসূন, প্রণয় এবং এক নাবালককে। পরে জানা যায় দুর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়ির আরোহীর সঙ্গে ট্যাংরাকাণ্ডে যোগ রয়েছে।

আরও পড়ুন:- এবার UPI-এর মাধ্যমে পিএফের টাকা তোলা যাবে, কিভাবে ? জেনে নিন

আরও পড়ুন:- ফিলটার করা জল পানে রয়েছে মারণ রোগের আশঙ্কা, জানুন বিস্তারিত

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন