Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- পরিবেশ দূষণ রোধে গাছ লাগানোর বার্তা বিভিন্নমহল থেকে প্রায়শই দেওয়া হয়। এমনকী একটি গাছ একটি প্রাণ, এই বার্তা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও পড়ুয়াদের দেওয়া হয়। তবে এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই ঘটে গেলে একেবারে উলটো ঘটনা। যেখানে কাঠগড়ায় খোদ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। স্কুলের বিদ্যুৎ বিল মেটাতে ৪টি গাছ কাটার অনুমতি মিলেছিল। অভিযোগ, ৪টির জায়গায় ১৪টি গাছ কাটা হয়েছে। যার কারণে বিপাকে প্রধান শিক্ষক। ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে নেমেছে বনদফতর ও পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত দেবনগর সতীশ লাহিড়ি স্কুলে। জানা গিয়েছে, পড়ুয়াদের নিরাপত্তার স্বার্থে ৪টি গাছ কাটার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও কারও কারও দাবি, স্কুলের বিদ্যুতের বিল মেটাতে ও অন্যান্য উন্নয়নের খরচ যোগাতে গাছগুলি কেটে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতো বন বিভাগের কাছে আবেদন করেন প্রধান শিক্ষক। আবেদনের প্রেক্ষিতে ৪টি গাছ কাটার ছাড়পত্র পায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অভিযোগ, তারপর মোট ১৪টি গাছ কাটা হয়েছে। বিষয়টি নজরে আসতেই তীব্র বিরোধিতা করেন প্রাক্তন ও বর্তমান পড়ুয়ারা। একইসঙ্গে তৎপর হয় একটি পরিবেশপ্রেমী সংগঠনও। থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুবীরকুমার সরকার বলেন, ৪টি গাছ কাটার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। মূলত বকেয়া বিদ্যুতের বিল মেটাতে এবং স্কুলের উন্নয়নের কাজের জন্যই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে এখনও পর্যন্ত মোট ১৪টি গাছ কাটা হয়েছে। জানতে পেরেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও বেআইনি কিছু হয়নি বলেই জানাচ্ছেন স্কুলের শিক্ষকদের একাংশ। তবে এই বিষয়ে মুখ খোলেননি স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
আরও পড়ুন:- রাজ্য পুলিশে সরাসরি ইন্টারভিউর মাধ্যমে প্রচুর কর্মী নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত দেখে শীঘ্রই আবেদন করুন
আরও পড়ুন:- এভাবে রোজ রুটি খেলে গলগলিয়ে বেরোবে খারাপ কোলেস্টেরল, রইল বিস্তারিত