Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- জাতীয়স্তরে বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র দুই শরিক কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস ৷ লোকসভায় আসন সংখ্যার নিরিখে কংগ্রেস নিঃসন্দেহে এই জোটের বড় শরিক ৷ শনিবার সেই বড় শরিকের দুই শীর্ষনেতা রাহুল গান্ধি ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধির বিরুদ্ধে সরাসরি তোপ দাগলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কুণাল ঘোষ ৷ জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে যে দলের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক একেবারে ‘সাপে-নেউলে’, সেই বিজেপিকেই রাহুল-প্রিয়াঙ্কারা পশ্চিমবঙ্গে অক্সিজেন দিতে আসছেন বলে দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের এই নেতা ৷
আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন ৷ তার আগে এই রাজ্যে কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের উজ্জীবিত করতে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা আসতে পারেন ৷ এমন কথা সাংবাদিক বৈঠকে শুনে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য, “ওর নিজেদের রাজ্য ঠেকাতে পারে না । মহারাষ্ট্র, দিল্লিতে কিছু করতে পারে না । যেখানে বিজেপিকে রুখছে তৃণমূল, সেই জায়গাটায় বিরক্ত করতে আসছে । বিজেপিকে অক্সিজেন দিতে বাংলায় আসছেন রাহুল গান্ধি ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধি ।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘ওরা এই কারণেই আসছে, সারা ভারতের কাছে তৃণমূল বিজেপির আসল বিরোধী দল, আসল মুখ, আসল মডেল বলে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে ৷ আর সেই কারণে ওরা বিজেপির বি’টিম হয়ে দালালি করতে আসছে ।”
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, ফেব্রুয়ারিতে হয়ে যাওয়া দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ‘ইন্ডিয়া’র দুই শরিক আম আদমি পার্টি ও কংগ্রেস সম্মুখসমরে নেমেছিল ৷ সেই লড়াইয়ে কংগ্রেসের লাভের চেয়ে আম আদমি পার্টির ক্ষতি বেশি হবে বলে পলিটিক্যাল পণ্ডিতরা দাবি করেছিলেন ৷ ভোটের ফলে সেটা স্পষ্টও হয়েছে ৷ রাজনৈতিক মহলের দাবি, দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে থাবা বসিয়েছিল কংগ্রেস ৷ যার জেরে বেশ কিছু আসনে ফলাফল আপের বিরুদ্ধে গিয়েছে ৷
পশ্চিমবঙ্গেও সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূলের অন্যতম বড় ভরসা ৷ কংগ্রেস এখানে শক্তিবৃদ্ধি করলে কিংবা রাহুল-প্রিয়াঙ্কা বিধানসভা ভোটের আগে ঘনঘন রাজনৈতিক কর্মসূচি করলে, সেই ভোটব্যাংকে কিছুটা হলেও ধস নামতে পারে ৷ রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, সেই কথা মাথায় রেখেই কি এদিন রাহুল-প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে বিজেপির সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ করলেন কুণাল ঘোষ ?
এদিকে আরএসএস ও বিজেপির মধ্যে সমন্বয় প্রক্রিয়া নিয়েও কটাক্ষ করেছেন কুণাল ঘোষ ৷ এদিন তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘বিজেপি এখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জীর্ণ । একটা বঙ্গ বিরোধী শক্তি ৷ বাংলার মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে । সেই জন্য ভুয়ো ভোটার ঢোকাতে হয় । ওদের নেতারা একে অন্যকে সহ্য করতে পারে না । কেন্দ্রীয় নেতারা জানে এদের দিয়ে কিছুই হবে না । মাঝেমাঝে নাকি আরএসএস সাহায্য করতে আসে ওরা পারছে না বলে । এগুলো সব হাস্যকর । ওরা যাঁরাই বৈঠক করুন, যাঁদের নিয়ে বৈঠক করুন, 2026-এ বিপুল ভোটে তৃণমূল জিতবে এবং চতুর্থ বারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হবেন ।”
আরও পড়ুন:- রাজ্য পুলিশে সরাসরি ইন্টারভিউর মাধ্যমে প্রচুর কর্মী নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত দেখে শীঘ্রই আবেদন করুন
আরও পড়ুন:- এভাবে রোজ রুটি খেলে গলগলিয়ে বেরোবে খারাপ কোলেস্টেরল, রইল বিস্তারিত