Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- খরচ হলেও পরিবেশ রক্ষায় প্রাধান্য । কলকাতায় সমস্ত জলাশয় পুনরুদ্ধার, পরিষ্কারের সঙ্গে মাছ চাষ বাধ্যতামূলক করছে কলকাতা পুরনিগম কর্তৃপক্ষ । জলাশয় পরিষ্কার, মাছ চাষের ক্ষেত্রে বরো ভিত্তিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে ।
শহরে জলাশয় বুজিয়ে দেওয়া নিয়ে প্রায়ই ওঠে অভিযোগ । সেই অভিযোগ অনেকটাই স্বীকার করেছে কলকাতা কর্পোরেশন ৷ শহরের উন্নয়ন, নগরায়ন বাসস্থান নির্মাণের মতো নানা কাজে ধীরে ধীরে কমছে জলাভূমি বা জলাশয় । পরিবেশ রক্ষায় সেই প্রবণতা ঠেকাতে এবার জলাশয় পরিষ্কার থেকে মাছ চাষের উদ্যোগ নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ ।
কর্পোরেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, 144টি ওয়ার্ডে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে জরিপ করে নিরীক্ষণ করে ছবি-সহ আট হাজারের বেশি জলাশয় চিহ্নিত করতে পারা গিয়েছে । মোট পরিমাণ 1 কোটি 71 লক্ষ 30 হাজার 45 বর্গ মিটার । কর্পোরেশন এলাকার 8.36 শতাংশ । মৎস্য আইন অনুসারে, জলাশয় ভরাট ঠেকাতে অনেকটাই ইতিবাচক ভূমিকা নিয়েছে কর্পোরেশন । এখনও পর্যন্ত শহরে বিভিন্ন এলাকায় পুকুর ভরাটের অভিযোগ কর্পোরেশনের তরফে করা হয়েছে 870টি ।
এবার আরও বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে পরিবেশ বিভাগ । তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ওয়েস্ট বেঙ্গল ইনল্যান্ড ফিশারিশ অ্যাক্ট 1993 17এ ধারায় মজে যাওয়া, অপরিচ্ছন্ন পুকুর বা জলাশয় সংস্কার ও পরিষ্কার করবে নিজেদের উদ্যোগে । এখনও পর্যন্ত 310টি এমন পুকুর বা জলাশয় নিয়ে এমন পদক্ষেপ করেছে পুরনিগম । এর সবকটিতেই মাছ চাষ করার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ । মশা হতে পারে এমন পরিস্থিতি হলে ব্যক্তি মালিকানায় থাকলেও স্বাস্থ্য বিভাগ নোটিশ দিলে সেগুলি পরিষ্কার করে দিচ্ছে পরিবেশ বিভাগ । এমন 30টি জলাশয় পরিষ্কার করা হয়েছে । রাজ্যের হাতে আছে এমন 35টি জলাশয় পুরনিগম পরিষ্কার করেছে ।
আরও পড়ুন:- ইডলি খেলে হতে পারে ক্যান্সার! নতুন গবেষণা রিপোর্ট কি বলছে, জেনে নিন
জলাশয় রক্ষায় কলকাতা পুরনিগমের পদক্ষেপ
এই বিষয়ে এক আধিকারিক বলেন, ‘‘সাধারণত কর্পোরেশনের তহবিল জলাশয় পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করা উচিত নয় । কারণ, কর্পোরেশনের একাধিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে । যেমন – জঞ্জাল সাফাই, জল সরবরাহ, রাস্তা, ফুটপাথ, নিকাশি, বুস্টিং পাম্পিং স্টেশন তৈরির বাজার উন্নয়ন ইত্যাদি । তবে পরিস্থিতি যেমনই হোক সবার আগে শহরের নাগরিকদের জীবনের স্বার্থে পরিবেশ রক্ষা । সেই প্রেক্ষিতে কর্পোরেশনের পরিবেশ বিভাগ দায়বদ্ধ জলাশয় পরিষ্কার করা বা রক্ষণাবেক্ষণ করা । পাশাপশি মাছ চাষ করা ।’’
কলকাতা পুরনিগম
তিনি জানান, জলাশয় রক্ষণাবেক্ষণে নজরদারি শুরু হয়েছে বরো ভিত্তিক । এর ফলে ভবিষ্যতে শহরের জলাশয় সংরক্ষণ নিয়ে চিন্তা অনেকটা কমবে । পরিবেশ ইতিবাচক প্রভাব থাকবে । মাছ বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করা হবে ।
আরও পড়ুন:- সকালে ঘুম থেকে উঠেই করুন এই ৫ কাজ, পেটের মেদ ঝরবে
আরও পড়ুন:- আমেরিকাকে যুদ্ধ নিয়ে চরম হুঁশিয়ারি চিনের, জানতে বিস্তারিত পড়ুন