Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বর্তমান সময়ে পাকস্থলীর সমস্যা বা গ্যাস্ট্রিক সমস্যা যেন প্রত্যেক ঘরে ঘরে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ, অত্যাধিক ফাস্ট ফুড এর কারণে পাকস্থলিতে বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধে। এই রোগ গুলোর মধ্যে সর্ব প্রথম হচ্ছে গ্যাসের সমস্যা। একটি গ্যাস্ট্রিক সমস্যার কারণে শরীরের নানা রকম জটিলতা ও রোগের সৃষ্টি হয়। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা এই সমস্যার কারণ, লক্ষণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
গ্যাস্ট্রিক সমস্যা প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
এত সবাই নিজের কাজে ব্যস্ত এবং এই কারণের জন্য অনেকেরই বাড়িতে তৈরি খাবার খাওয়ার বা বানানোর সময় নেই। তাই অনেকেই আছেন যারা বেশিরভাগ খাবার বাইরে থেকেই কিনে খেয়ে থাকেন এবং অতিরিক্ত তেল, মশলা বা ভাজা খাবার খেতে এমনি বারণ করেন ডাক্তাররা। আর ফল ও শাক সবজির কম সেবন শরীরে ফাইবারের মাত্রা কমিয়ে দেয় সেই জন্য খাবার হজম না হওয়া ও এই রকম হতে থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্য (Constipation) সমস্যা হতে পারে।
গ্যাস্ট্রিক সমস্যা এড়ানোর কার্যকর উপায়
গ্যাস্ট্রিক কি? :- কোন খাবার গ্রহণ করার পর পরে অনেক সময় পেটের মধ্যে ফোলাভাব, অস্বস্তি, গ্যাস, বদহজম, অ্যাসিডিটি এবং আরও অনেক কিছু জটিলতা সৃষ্টি হয়। প্রথমদিকে এই সমস্যাগুলি গুরুতর আকার ধারণ না করলেও দীর্ঘদিন এই সমস্যায় ভুক্তভোগী হতে থাকলে একসময় গ্যাস্ট্রিক সমস্যা ভয়াবহতা ধারণ করে।
গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কেন হয়?
অতিরিক্ত মশলাদার, তেল যুক্ত, বা অম্লীয় খাবার খাওয়া, খুব বেশি মাত্রায় খাওয়া, খাবার খাওয়ার পরপর শুয়ে পড়া ইত্যাদি। এছাড়াও মানসিক চাপ পাকস্থলীর অ্যাসিড উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। কিছু ওষুধ পাকস্থলীতে জ্বালা পোড়া বা অন্য ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের সংক্রমণের ফলেও গ্যাস্ট্রিক হতে পারে। অ্যালকোহল এবং ধূমপান পাকস্থলীর আস্তরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
কোন কোন লক্ষণ দেখে বুঝতে পারবেন আপনার মধ্যে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা রয়েছে। আগের থেকে জানলে সুবিধা হবে সকলের। বুক জ্বালা পোড়া, অম্লতা, পেট ফোলা, বমি বমি ভাব, বমি হওয়া, গিলতে সমস্যা, খাবার খাওয়ার পর অস্বস্তি, চোয়া ঢেকুর, হৃদপিণ্ডে ব্যথা, খিদে না পাওয়া, একবার খেলে হজম না হওয়া। এই সকল কিছু হলে আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি কোন ডাক্তারের কাছে গিয়ে যোগাযোগ করুন।
গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির উপায়
- জীবনযাত্রার পরিবর্তন
- অল্প অল্প করে বারবার খাওয়া
- খাওয়ার পর এক ঘণ্টা শুয়ে না থাকা
- চর্বি যুক্ত, মশলাদার বা অম্লীয় খাবার এড়িয়ে চলা
- ধূমপান বন্ধ করা
- ওজন কমানো
গ্যাস্ট্রিকের ঘরোয়া চিকিৎসা সহজ পদ্ধতি
এইবারে নিজের থেকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। এই জন্য সুষম খাদ্য গ্রহণ করা, নিয়মিত সময়ে খাবার খাওয়া, খাওয়ার পরপর শুয়ে না পড়া কমপক্ষে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করা বিশেষ করে রাতের বেলায়, চাপ মুক্ত থাকার চেষ্টা করা, ধূমপান এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা। এমন কিছু দিন করলে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দূর করতে অনেকটাই সফল হওয়া সম্ভব। আর সম্ভব হলে আমলকী ও অ্যালোভেরার জুস খাওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন:- হঠাৎ আবহাওয়া পরিবর্তনে ঘরে ঘরে সবাই অসুস্থ, কীভাবে সুস্থ থাকবেন জেনে নিন
আরও পড়ুন:- ভূতুড়ে ভোটার ধরতে তৃণমূলের দারুন পদক্ষেপ, বিস্তারিত জানুন