হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচার উপায় কি? জেনে নিন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

heart

 

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে হার্ট অ্যাটাক এই কথাটি প্রবলভাবে শোনা যায়। সবচেয়ে বেশি মনে হয় মৃত্যুর কারণ হিসাবে এই হৃদ রোগ অন্যতম, যেটি যে কোন মানুষের কাছে আকস্মিক মৃত্যু ডেকে আনে। কোন কোন লক্ষণ দেখে বুঝতে পারবেন আগের মতন হার্ট তার কার্যকারিতা হারাচ্ছে? কিভাবে নিজের হৃদয় সুরক্ষিত বোধ করবেন? এই সমস্ত তথ্য রয়েছে আজকের এই প্রতিবেদনে।

হার্ট অ্যাটাক নিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ জানুন

যখন হৃৎপিণ্ডে রক্ত সঞ্চালন বাধা গ্রস্ত হয়, তখন হার্ট অ্যাটাকের মতন সম্ভাবনা দেখা দেয়। অনেক কারণেই অ্যাটাক হতে পারে সঙ্গে সঙ্গে। আরেই ছাড়াও আরও অনেক কারণ আছে এবং সকল জিনিসের মুলে রয়েছে চিন্তা, বাজে খাবার খাওয়া এবং তারই সঙ্গে বাজে জীবন যাত্রা। এই তিন জিনিস ঠিক করে নিলে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়না কাউকে এমনটাই মনে করেন অনেক ডাক্তাররা।

হৃদরোগ থেকে বাঁচার উপায়

এথেরোস্ক্লেরোসিস (ধমনী রোগ), উচ্চ রক্তচাপ, তামাক সেবন, অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের উচ্চ মাত্রা, হৃদরোগের একটি পারিবারিক ইতিহাস, নিষ্ক্রিয়তা, উদ্বেগ এবং উত্তেজনা, অতিরিক্ত মদ্যপান, অবৈধ ওষুধ ব্যবহার। উপরের এই কারণ গুলির জন্য ধমনীতে ব্লকেজ দেখা দিতে পারে। প্রথম দিকে ব্লকেজ দেখা দিলেও যদিও তেমন কোন বেশি সমস্যার সৃষ্টি হয় না তবে ধীরে ধীরে ব্লকের বৃদ্ধি পেলে শেষ সমস্যা হয়। এভাবেই অ্যাটাক হতে পারে। আপনি যদি প্রথম থেকে বিভিন্ন লক্ষণ দেখে বুঝতে পারেন যে আপনার হার্ট খারাপ হতে শুরু করেছে তাহলে এটি প্রতিরোধ করতে পারবেন।

আরও পড়ুন:- রাজ্য সরকারের NBCFDM সংস্থায় প্রচুর কর্মী নিয়োগ চলছে! আবেদন পদ্ধতি সহ বিস্তারিত দেখেনিন

হৃদরোগের লক্ষন কি কি?

বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি, শরীরের উপরের অংশে ব্যথা, শ্বাস কষ্ট, ঘাম, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, ক্লান্তি, মাথা ঘোরা।এই লক্ষণ গুলোকে প্রাথমিক লক্ষণ বলা হয়, এই লক্ষণ গুলো এক বা একাধিক দেখা দিলে দ্রুত কোনো হার্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। যাতে সময় থাকতে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া যেতে পারে এবং কোন সমস্যা না হয়।

হার্ট অ্যাটাক হলে কী করবেন?

১) অবিলম্বে EMS ডায়াল করুন। সাহায্যের জন্য কল করতে দ্বিধা করবেন না কারণ হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসার জন্য সময় অপরিহার্য।
২) একটি আরামদায়ক বসার অবস্থান খুঁজে পেতে ব্যক্তিকে সহায়তা করুন এবং পরণের পোশাক খুলে ফেলতে সাহায্য করুন।
৩) একজন ব্যক্তিকে একটি চিবানো যোগ্য অ্যাসপিরিন বড়ি দিন যদি তার এতে অ্যালার্জি না থাকে। এটি রক্ত জমাট বাঁধা কমাতে পারে এবং হৃদয়-স্বাস্থ্যকর রক্ত প্রবাহ বাড়াতে পারে।

৪) ব্যক্তি অজ্ঞান হলে এবং শ্বাস না নিলে অবিলম্বে সিপিআর অর্থাৎ বুকের মধ্যে জোরে চাপ দেওয়া শুরু করুন। এটি মস্তিষ্ক এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় অঙ্গ গুলিতে রক্ত এবং অক্সিজেন প্রবাহ বজায় রাখার জন্য বুকের সংকোচন এবং রেসকিউ করে শ্বাস প্রশ্বাসকে স্বাভাবিক করে।
৫) এরপর তাকে দ্রুত এম্বুলেন্স করে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।

হার্ট অ্যাটাক হলে কী করবেন না?

১) আতঙ্কিত হয়ে পড়বেন না। প্রাথমিক চিকিৎসায় সহায়তা করুন।
২) রোগীর সাথে থাকুন এবং চিকিৎসা সহায়তা না আসা পর্যন্ত তাদের শান্ত করুন ও মনোবল জাগানোর চেষ্টা করুন। ব্যক্তিকে অতিরিক্ত নড়াচড়া করতে দেবেন না। এটা হার্টের চাপকে বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং পরিস্থিতির অবনতি করতে পারে।

হার্ট অ্যাটাক কিভাবে প্রতিরোধ করবেন?

ধূমপান এবং তামাক ব্যবহার আপনার হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এর জন্য চেষ্টা করবেন ধূমপান ত্যাগ করার। নিয়মিত ব্যায়াম বা হাটা আপনার হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাকে অনেক কমিয়ে দিতে পারে। এই জন্য আজকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত শরীর চর্চা করার চেষ্টা করুন। ফল, শাক সবজি, গোটা শস্য, চর্বিহীন প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি যুক্ত খাবার খেলে আপনার হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা অনেকটাই কম থাকবে।

অতিরিক্ত ওজন হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাকে আরো বাড়িয়ে তোলে। এই জন্য চেষ্টা করবেন ওজন কম রাখার। হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং সর্বোপরি সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি রাতে 7 – 8 ঘন্টা রিলাক্স ভাবে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। মানসিক চাপ হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তোলে। এই জন্য নিয়মিত ধ্যান করার চেষ্টা করুন। মানসিক চাপ থেকে বিরত থাকুন। উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ কোলেস্টেরল হার্ট অ্যাটাকের জন্য ঝুঁকির কারণ। এই দুটো বেশি থাকলে নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলার চেষ্টা করুন।

আরও পড়ুন:- হঠাৎ আবহাওয়া পরিবর্তনে ঘরে ঘরে সবাই অসুস্থ, কীভাবে সুস্থ থাকবেন জেনে নিন

আরও পড়ুন:- ভূতুড়ে ভোটার ধরতে তৃণমূলের দারুন পদক্ষেপ, বিস্তারিত জানুন

 

 

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন