Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- সবজি হিসেবে ক্যাপসিকামের জনপ্রিয়তা থাকলেও অনেকেই সবুজ ক্যাপসিকামের স্বাদ পছন্দ করেন না। তবে এর অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা জেনে গেলে হয়তো আপনি এটিকে খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে বাধ্য হবেন। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই সবজি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে শুরু করে ওজন কমানো পর্যন্ত নানা উপায়ে আমাদের সাহায্য করে। আসুন সবুজ ক্যাপসিকামের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক।
১. পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ
সবুজ ক্যাপসিকাম বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজের সমৃদ্ধ উৎস। এতে রয়েছে—
ভিটামিন সি: এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং ক্ষত দ্রুত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
ভিটামিন বি৬: মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং স্নায়বিক সমস্যার ঝুঁকি কমায়।
ভিটামিন ই: কোষ রক্ষা করে এবং জারণজনিত ক্ষতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম: এই খনিজ দুটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
২. ওজন কমাতে সহায়ক
সবুজ ক্যাপসিকামে ক্যালোরির পরিমাণ কম, কিন্তু এটি প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং জলীয় উপাদান সমৃদ্ধ। ফলে এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে, ক্ষুধার অনুভূতি কমায় এবং অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ থেকে বিরত রাখে। তাই ওজন কমানোর জন্য এটি একটি চমৎকার বিকল্প।
আরও পড়ুন:- কালো জল: কেন ক্রমে বাড়ছে এর জনপ্রিয়তা ? জানতে বিস্তারিত পড়ুন
৩. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
এই সবজিতে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি রক্তনালীগুলিকে প্রসারিত করে এবং হৃদযন্ত্রের ওপর চাপ কমায়, যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
৪. ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা করে
সবুজ ক্যাপসিকামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ভিটামিন ই ও সি। ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে ত্বককে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত রাখে। ভিটামিন বি৬ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুল পড়া কমায়।
৫. দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে
সবুজ ক্যাপসিকামে লুটেইন ও জেক্সানথিন নামক দুটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা চোখের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি ক্ষতিকারক নীল আলো ও ইউভি রশ্মির প্রভাব থেকে চোখকে রক্ষা করে।
দীর্ঘ সময় স্ক্রিনের সামনে কাজ করার ফলে যে চাপ পড়ে, তা কমাতেও সাহায্য করে।
৬. ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক
সবুজ ক্যাপসিকামে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি শরীরের ফ্রি-র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং প্রদাহজনিত সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।