Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বছরখানেক আগে পৃথিবীর আলো দেখার পরই জীবনে অন্ধকার নেমে এসেছিল শিশুকন্যার ৷ তাকে হাসপাতালের বেডে ফেলে রেখে নিরুদ্দেশ হন মা ৷ সেই একরত্তিই এবার পেল পরিবার ৷ তাকে কোলে তুলে নিতে সুদূর স্পেন থেকে জলপাইগুড়িতে উড়ে এলেন এক সিঙ্গল মাদার ৷ আজ জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের মাধ্যমে শিশুটিকে দত্তক নিলেন অর্থনীতির গবেষক ।
এক বছর আগে জন্মগ্রহণের পর থেকে জলপাইগুড়ি স্পেশাল অ্যাডপশন এজেন্সির তত্ত্বাবধানে ছিল সেই শিশুকন্যা । গত বছর স্পেন থেকে আফা (অথরাইজড ফরেন অ্যাডাপটেশন এজেন্সি)-র মাধ্যমে সেন্ট্রাল অ্যাডপশন রিসোর্স অথরিটি (কারা)-র সঙ্গে যোগাযোগ করেন ইউলেন্ডা । এরপর ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে কথাবার্তা চলে । শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আজ তাকে তুলে দেওয়া হল তার নতুন মায়ের কোলে ৷
আরও পড়ুন:- কালো জল: কেন ক্রমে বাড়ছে এর জনপ্রিয়তা ? জানতে বিস্তারিত পড়ুন
স্পেন থেকে জলপাইগুড়িতে এসেছেন অর্থনীতির অধ্যাপক 43 বছরের ইউলেন্ডা পেনা বকেট । ফুটফুটে শিশুকন্যাকে পেয়ে যারপরনাই উচ্ছ্বসিত নিঃসন্তান ইউলেন্ডা । কারার মাধ্যমে জলপাইগুড়ির সরকার পোষিত স্পেশালাইজড অ্যাডপশন এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করে শিশুটির খোঁজ পান তিনি ৷ সোমবারই তিনি স্পেন থেকে এদেশে এসেছেন ৷ তাঁর সঙ্গে এসেছেন ভাই আভিয়া ৷
এদিন গোলাপি ফ্রক পরা শিশুটিকে ইউলেন্ডার হাতে তুলে দিলেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শামা পারভিন । উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনের সমাজকল্যাণ দফতরের আধিকারিক ও অন্যান্য আধিকারিকরা । জেলাশাসক শামা পারভিন বলেন, “স্পেনের এই মহিলা গত এক বছর আগে শিশুকে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন । আজ তাঁর হাতে আইন মেনে শিশুটিকে তুলে দেওয়া হল । জলপাইগুড়ি সা (স্পেশালাইজড অ্যাডপশন এজেন্সি) থেকে অ্যাডপশন দেওয়া হল । শিশুটির চোখে একটু সমস্যা আছে । আশা করি স্পেনে গিয়ে নতুন মায়ের কাছে সে ভালো থাকবে ৷”
এদিকে, মেয়েকে পেয়ে আপ্লুত ইউলেন্ডা পেনা বকেট জানান, “আজ আমার খুব ভালো লাগছে । আমি একজন সিঙ্গল মাদার । আমি এক বছর আগে বাচ্চার জন্য আবেদন করেছিলাম । আজ জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের মাধ্যমে মেয়েকে পেলাম । আমি ধন্যবাদ জানাই জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনকে ।”
আরও পড়ুন:- বিদ্যুৎ দপ্তরে নতুন করে প্রচুর কর্মী নিয়োগ চলছে! আবেদন পদ্ধতি সহ বিস্তারিত দেখেনিন